আওয়ার ইসলাম: গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটি।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক মাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা গত বৃহস্পতিবার (১লা এপ্রিল)মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশে এক মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে বলেছিলেন‘দেশে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির সাথে শান্তি আলোচনা অব্যাহত রাখতে এবং ১৩ এপ্রিল থেকে থিংগানের বৌদ্ধ উত্সব শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য সেনাবাহিনী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।’
দেশের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে কাচিন রাজ্যে একটি পুলিশ স্টেশন দখল করে নিয়েছে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেস আর্মি (কেআইএ)। অভ্যুত্থানবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী এই কাচিন বিদ্রোহীরা।
কেআইএর একজন মুখপাত্র বলেন, কেউকি জেলায় মধ্যরাতের এক অভিযানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ একটি থানা নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীরও মাঝে মাঝে এই থানাটি ব্যবহার করত। দেশে বড় আকারে বিক্ষোভ চলমান থাকাকালীন হেফাজতে থাকা উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তাদের সামরিক আদালতে বিচারের ব্যবস্থা করা অব্যাহত রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি কাচিন বিদ্রোহীরা। এদিকে অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের রক্ষার ঘোষণা দিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী কেআইএ ও কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর সঙ্গে অস্ত্রবিরতির চুক্তি করেছে আরাকান আর্মি, টাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ও মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি।তবে বিক্ষোভকারীদের প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতা বন্ধ না হলে তারা সেই চুক্তি লঙ্ঘনের হুশিয়ারি দিয়েছে।
-এটি