আওয়ার ইসলাম: আগামী ৮ই এপ্রিল থেকে দেশে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হবে। এর আগেই বন্ধ হতে পারে প্রথম ডোজ প্রদান কর্মসূচি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছেন, ভারত থেকে কেনা এবং উপহার হিসেবে পাওয়া টিকার মোট ১ কোটি ২ লাখ ডোজের মধ্যে হাতে আছে ৪২ লাখ ডোজ। এগুলো দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ জন্য টিকা কার্যক্রমে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।
প্রথম ধাপে দেশের ৬০ লাখ মানুষকে করোনা টিকার দুই ডোজ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সরকার। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সাথে চুক্তি অনুযায়ী প্রতিমাসে ৫০ লাখ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা আসার কথা। সে অনুযায়ী জানুয়ারি মাসে নির্ধারিত ৫০ লাখ ডোজের সঙ্গে উপহার হিসেবে আসে আরো ২০ লাখ ডোজ টিকা। কিন্তু, ফেব্রুয়ারির চালানে এসেছে ২০ লাখ ডোজ। মার্চ মাসের চালান এখনও আসেনি। তবে, ২৬ শে মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় এলে উপহার হিসেবে আসে আরো ১২ লাখ ডোজ টিকা।
উপহার আর কেনা-সব মিলে এ পর্যন্ত দেশে টিকা এসেছে ১ কোটি ২ লাখ। ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হলে অগ্রধিকার তালিকায় থাকা লোকজনদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৯ জনকে টিকা দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এখন মজুদ আছে ৪২ লাখ ডোজ টিকা। আর নিবন্ধনের পর প্রথম ডোজ নেয়ার জন্য অপেক্ষায় ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭০ জন। এ অবস্থায় প্রথম দফায় টিকা নেয়া সব মানুষের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম ডোজ নেয়ার তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ না নিলে টিকা তেমন কার্যকরী হয় না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানিয়েছেন, টিকা পাওয়া সাপেক্ষে কর্মসূচীতে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।
ভারত টিকা রপ্তানি স্থগিত করলেও চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ যাতে টিকা পায় তা নিয়ে দিল্লীর সাথে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও, দেশেই অক্সফোর্ডের করোনা টিকা উৎপাদনের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ এই কর্মকর্তা।
এনটি