আওয়ার ইসলাম: প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান পথ সুয়েজ খালটিকে আটকে রেখেছিল জাপানি মালিকানাধীন ‘এভার গিভেন’ জাহাজ। ওই জাহাজটির ক্যাপ্টেন-নাবিকরা ছিলেন ভারতীয়।
প্রাণপণ চেষ্টা করে জাহাজটি ভাসিয়েছে সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ। তবে ওই পথটিতে চলাচল স্বাভাবিক হলেও কর্তৃপক্ষের যে ক্ষতি হয়েছে তার মূল্য দিতে হতে পারে জাহাজের নাবিকদের। খাল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব আইনে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে পারেন তারা।
বিবিসি বাংলা জানায়, বিশালাকার মালবাহী জাহাজটি জাপানের মালিকানাধীন, পানামার পতাকাবাহী এবং তাইওয়ানের একটি কোম্পানি ‘এভারগ্রিন’ পরিচালনা করত। তবে জাহাজের ক্যাপ্টেন-সহ নাবিকদের সবাই ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। কিন্তু জাহাজের ক্যাপ্টেন বা অন্য নাবিকদের পরিচয় তারা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, ওই ২৫ জন নাবিকের বেশির ভাগই ছিলেন দাক্ষিণাত্যের তেলেঙ্গানা, কেরালা বা তামিলনাডু রাজ্যের বাসিন্দা। ক্যাপ্টেন নিজেও একজন দক্ষিণ ভারতীয়। ভারতের জাহাজ চলাচল শিল্পের সঙ্গে যুক্তরা অনেকেই মনে করছেন, সুয়েজের ওই দুর্ঘটনার জেরে ভারতীয় নাবিকদের ফৌজদারি চার্জের মুখোমুখি হতে হবে।
ইতোমধ্যেই ওই ২৫ জন নাবিককে সুয়েজে ‘গৃহবন্দি’ রাখা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের তদন্ত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত তাদের দেশ ছাড়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভারতে মার্চেন্ট নেভি অফিসারদের বৃহত্তম সংগঠন ‘দ্য মেরিটাইম ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া’র একটি পদস্থ সূত্র বিবিসিকে বলেন, ‘আসলে সুয়েজ ক্যানাল অথরিটির নিজস্ব কিছু আইনকানুন আছে, যা আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বা সমুদ্র আইনের চেয়েও অনেক বেশি কড়া!’
এর আগে গত ২৩শে মার্চ সকালে এভার গিভেন যখন সুয়েজ খাল ধরে এগোচ্ছিল, তখন প্রবল ধূলিঝড় আর জোরালো বাতাসে জাহাজটির অভিমুখ বেঁকে যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। এমন অবস্থার পরিপেক্ষিতে সেটি খালকে আড়াআড়িভাবে আটকে দেয়। এর ফলে প্রায় সাড়ে ৩০০ মালবাহী জাহাজ খালের দুদিকে আটকে পড়ে। বহু জাহাজকে কেপ টাউন হয়ে পুরো আফ্রিকা ঘুরে ইউরোপের দিকে পাড়ি দিতে হয়।
-এটি