মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মিসওয়াক: উন্নত রুচি-পরিচ্ছন্নতায় জুমার দিনে প্রিয় নবীর প্রিয় আমল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা মুহাম্মাদ আনওয়ার হুসাইন।।

মিসওয়াক প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় একটি সুন্নত। এছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত এটি। আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

السِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ، مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ

মিসওয়াক মুখের পবিত্রতা, রবের সন্তুষ্টির মাধ্যম। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ২৮৯; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ১৩৫; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ১০৬৭

মিসওয়াক ইসলামের উন্নত রুচি ও পরিচ্ছন্নতার পরিচায়ক। মুমিনের ভেতরটা যেমন স্বচ্ছ ও কলুষতামুক্ত থাকবে তেমনি তার বাহিরও হবে সুন্দর ও পরিপাটি, পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন। সবধরনের কদর্যতা ও মন্দ স্বভাবমুক্ত।

পাক-পবিত্রতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মুমিনের অনন্য ও স্বভাবজাত রুচি-বৈশিষ্ট্যের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। হাদীস শরীফে এসেছে-

عَشْرٌ مِنَ الْفِطْرَةِ: قَصُّ الشَّارِبِ، وَإِعْفَاءُ اللِّحْيَةِ، وَالسِّوَاكُ

দশটি বিষয় স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত। মোচ খাটো করা, দাড়ি লম্বা রাখা, মিসওয়াক করা…। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬১

আমরা হাদীস শরীফে জুমার দিন গোসল করা সুন্নত জেনে এসেছি। কিন্তু আমরা কখনো কি খেয়াল করেছি জুমার দিন আমাদের শুধু গোসলেরই বিধান দেয়া হয়নি, বরং হাদীসে মিসওয়াকেরও কথাও এসেছে। সহীহ মুসলিমের হাদীসটির প্রতি লক্ষ করুন। আবু সায়ীদ খুদরী রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

غُسْلُ يَوْمِ الْجُمُعَةِ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ، وَسِوَاكٌ، وَيَمَسُّ مِنَ الطِّيبِ مَا قَدَرَ عَلَيْهِ

জুমার দিন প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির গোসল ও মিসওয়াক করা কর্তব্য এবং সামর্থ্য অনুযায়ী সে সুগন্ধিও ব্যবহার করবে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৮৪৫

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ