আওয়ার ইসলাম: গুলিবিদ্ধ হওয়ার ১৩ ঘণ্টা পর মারা গেলেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল গণি মণ্ডল (৬০)। তিনি দৌলতদিয়া ইউপির টানা চারবারের নির্বাচিত সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ইউপি চত্বরে স্থানীয় একজনের জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা আবদুল গণি মণ্ডলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে একটি গুলি তাঁর বাঁ পাশের পেটে লাগে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
আবদুল গণি মণ্ডলের বড় ছেলে আলম মণ্ডল বলেন, গতকাল এশার নামাজ শেষে দৌলতদিয়া ইউপি চত্বরে পাশের ফকিরপাড়া গ্রামের হাকিম মণ্ডলের জানাজায় যান তাঁর বাবা। বাড়ি থেকে ইউপি চত্বরের দূরত্ব প্রায় ১০০ গজ। জানাজা শেষে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেন আবদুল গণি মণ্ডল। সেখান থেকে রাত পৌনে ১০টার দিকে ভাগনে ইমনকে নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ এক দুর্বৃত্ত তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক দুর্বৃত্তের সঙ্গে গুলি চালানো দুর্বৃত্ত পালিয়ে যায়।
ছেলে আলম মণ্ডল আরও বলেন, তাঁর বাবাকে সাভারের এনাম মেডিকেলে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা দ্রুত অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে গুলি বের করেন। তবে জ্ঞান ফিরে না আসায় তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাবার মৃত্যুসংবাদ জানানো হয় তাঁদের। বাবার সঙ্গে এলাকার কারও বিরোধ ছিল না বলে দাবি তাঁর।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, ঘটনা সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানতে পারা যায়নি। কে বা কারা তাঁকে গুলি করেছে, পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে। একই সঙ্গে পুরো টিম মাঠে কাজ করছে।
-কেএল