আওয়ার ইসলাম: রমজানের আগে সয়াবিন তেলের সঙ্গে চিনি ও পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এর মধ্য সয়াবিন তেল ১০, চিনি ও পেঁয়াজের দাম পাঁচ টাকা করে বাড়ানো হয়।
গত জানুয়ারিতে সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে ৯০ টাকা করেছিল টিসিবি। বুধবার এ দাম আবার ১০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। কেজিতে পাঁচ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে চিনি ও পেঁয়াজের দাম।
বৃহস্পতিবার থেকে কেজি প্রতি চিনি ৫৫ টাকা এবং পেঁয়াজ ২০ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া কেজি প্রতি ৫৫ টাকা দরে ছোলা ও ৮০ টাকা দরে খেজুর বিক্রি শুরু করবে টিসিবি।
বুধবার টিসিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘দাম বাড়ানো হয়নি। বাজারের মূল্যের সঙ্গে চিনি ও সয়াবিন তেলের দাম সমন্বয় করে পুননির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, বাজারের দামের সঙ্গে অনেক বেশি পার্থক্য থাকলে কালোবাজারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
বুধবার কারওয়ান বাজার ও খামারবাড়ি এলাকায় টিসিবির ট্রাকে প্রচুড় ভির দেখা গেছে। অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্য কিনলেও বেশিরভাগই এর ধার ধরছেন না। ওই দুই ট্রাকের ডিলার জানিয়েছেন, নিয়মিতিই এখানে মানুষের ভিড় থাকে। টিসিবির ট্রাকে ৯০ টাকা লিটার প্রতি ২ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল, ১৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ, ৫৫ টাকায় মসুর ডাল এবং ৫০ টাকা দরে চিনি বিক্রি হয়ে আসছিল। শিগগিরই এসব ট্রাকে খেজুর ও ছোলা বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার আরিফুল হাসান।
বৃহস্পতিবার থেকে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি, ৩ কেজি ছোলা, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে মিলবে পেঁয়াজ।
সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজধানীতে ১০০টি এবং চট্টগ্রামে ২০টিসহ সারাদেশে ৫০০টি ট্রাকের মাধ্যমে সব জেলা ও উপজেলা শহরে এই বিক্রি কার্যক্রম শুরু চলবে। প্রতিটি ট্রাকে ৮০০-১ ২০০ কেজি চিনি, ৬০০-৭৫০ কেজি মসুর ডাল, ১২০০-১৫০০ লিটার সয়াবিন তেল, ৩০০-১০০ কেজি পেঁয়াজ, ৪০০-১০০০ কেজি ছোলা ও ১০০ কেজি খেজুর বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
এনটি