আওয়ার ইসলাম: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি, বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি, হাইয়াতুল উলিয়ার কো- চেয়ারম্যান, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, সাবেক হুইপ ও তিনবারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী, সহ-সভাপতি মাওলানা শহিদুল ইসলাম আনসারী, মহাসচিব মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, আব্দুল হক কাউসারী, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মুফতি জাকির হোসাইন খান, মুফতি রেজাউল করিম, যুব জমিয়তের সভাপতি মুফতি রেদওয়ানুল বারী সিরাজী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম বিন হারুন, ছাত্র জমিয়ত সভাপতি সুহাইল আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আল আদনান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ এক শোকবার্তায় বলেন, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ছিলেন একজন প্রাজ্ঞ ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। আমরা তার তত্ত্বাবধানে যুগ যুগ ধরে কাজ করেছি। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তা ও দূরদর্শীতার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাকে হারিয়ে আমরা অভিভাবক হারা হলাম। তার শূন্যতা কোনদিন পূরণ হবে না।
তিনি আমাদের দলসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যন্ত আমানতদারীর সাথে। এ যুগের রাজনীতিবিদদের জন্য তার জীবন অনেক শিক্ষনীয়। তিনি একজন শায়খুল হাদিস ও আইন বিশারদ ছিলেন। আমরা তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহপাক মরহুমের দ্বীনি খেদমতসমূহকে কবুল করে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করেন।
উল্লেখ্য, তিনি আজ বুধবার ৩১ শে মার্চ ভোর ৪.৩০মিনিটে রাজধানী ঢাকার মহাখালী শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জানাজার নামাজ তাঁর প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া ইমদাদিয়া মাদানীনগর, মনিরামপুর, যশোরে আজ বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি ১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাও করেন। মুফতি ওয়াক্কাস ২০২০ সালের শেষ দিকেও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি, কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষাবোর্ড আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়ার কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তার প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া ইমদাদিয়া মাদানীনগরের মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস ছিলেন তিনি।
এমডব্লিউ/