মোস্তফা ওয়াদুদ: হাইয়াতুল উলইয়ার কেন্দ্রীয় পরীক্ষার বিষয়ে বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) মতিঝিলের কাবিলা ভবনে হাইয়াতুল উলিয়ার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করছেন গওহারডাঙ্গা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও হাইয়াতুল উলিয়ার সদস্য মুফতি রুহুল আমিন।
উপস্থিত আছেন, আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের সদস্য মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা নূরুল আমিন, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মুসলেহুদ্দীন গওহরপুরী, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা ছফিউল্লাহসহ হাইয়াতুল উলিয়ার প্রমূখ সদস্যবৃন্দ।
গতকাল সোমবার হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানকে হাসপাতালে দেখতে গেলে শীর্ষ আলেমদের বৈঠক থেকে আজকের এ বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আল্লামা মাহমুদুল হাসানকে দেখতে হাসপাতালে যান তানযিমুল মাদারিসিল কাওমিয়া এর সভাপতি মুফতি আরশাদ রাহমানী, সংস্থাটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাওলানা মাহফুজুল হক, বেফাক সহ-সভাপতি মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু, বেফাকুল মাদারিসিদ্দিনিয়ার মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, আগামী বুধবার ৩১ মার্চ থেকে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ শিক্ষা অথরিটি ‘আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর দাওরায়ে হাদীস (তাকমীল) পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিলো।
এদিকে গতকাল সোমবার করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কওমি মাদ্রাসাসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সোমবার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য দিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে বিশেষ অনুরোধে কওমি মাদ্রাসাগুলো চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক গুণ বেড়ে গেছে। অনেকে মারা যাচ্ছেন। গতকালও (গত ২৪ ঘণ্টায়) অনেকে মারা গেছেন। এ জন্য সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কওমি মাদ্রাসাগুলোও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের স্কুল-কলেজ আগামী ২৩ মে খোলার কথা। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা রয়েছে আগামী ২৪ মে।
এমডব্লিউ/