রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে যে উদ্যোগ নিল বেফাক!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস। কওমি মাদরাসার ইতিহাসে ছিলো না বললেই চলে। তবে গত ২০১৮ সালে সর্বপ্রথম ফাঁস হয় পরীক্ষার প্রশ্ন। পরীক্ষার আগেই শিক্ষার্থীরা জেনে যায় কী আছে তাদের প্রশ্নপত্রে?

প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত ছিলো একটি চক্র। সে বছর পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয় বেফাকের। এরপর থেকেই বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে প্রতিবছরই নতুন নতুন উদ্যোগ নেন। হোয়াটস অ্যাপে খোলা হয় নির্দিষ্ট গ্রুপ। সে গ্রুপে পরীক্ষা শুরুর আগ মুহূর্তে পাঠানো হতো পরীক্ষার প্রশ্ন। যে সকল মারকাযে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় সেখানে প্রিন্ট মেশিন থাকা আবশ্যক করা হয়। মারকাযের প্রিন্ট মেশিনে প্রিন্ট করেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৌঁছানো হয় পরীক্ষার্থীদের হাতে।

সে বছর বেফাকের তড়িৎ এমন সিদ্ধান্ত বেশ কাজে দিয়েছিলো। কোনো রকমের ঝামেলা কিংবা প্রশ্নফাঁস ছাড়াই পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পেরেছেন কর্তৃপক্ষ।

এবার কী ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে বেফাক? জানতে যোগাযোগ করেছিলাম কর্তৃপক্ষের সাথে। তারা আওয়ার ইসলামকে জানান, ‘প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবারও নতুন একটি উদ্যোগ নিয়েছে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ। হোয়াটসঅ্যাপের পাশাপাশি টেলিগ্রাম অ্যাপও যুক্ত করেছি আমরা।’

জানা গেছে, হোয়াটস অ্যাপের গ্রুপে নির্দিষ্ট পরিমাণ লোকের বেশি সংযুক্ত করা যায় না। তাই বেশি লোকদের সংযুক্ত করতে টেলিগ্রাম অ্যাপটিও কাজে লাগানোর চিন্তা করছেন তারা। ইতোমধ্যে পরীক্ষা সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রেরণের সময় মারকাযের জিম্মাদারদের টেলিগ্রাম অ্যাপটিও ইনস্টল করতে বলেছেন বেফাক কর্তৃপক্ষ।

বেফাক কর্তৃপক্ষ আরও জানান, ‘পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিট পূর্বে বেফাকের গঠিত টিম থেকে প্রেরণ করা হবে পরীক্ষার প্রশ্ন। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মহাপরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের ও বেফাকের নাজিমে তালিমাত বা শিক্ষা সচিব মাওলানা আমিনুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই প্রশ্ন পত্র প্রেরণ করবেন।’

তিনি জানান, ‘পরীক্ষা শুরুর দশ মিনিট পূর্বে প্রশ্নগুলো বেফাকের অফিস থেকে প্রেরণ করার পর প্রিন্ট করে পরীক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হবে। এ কারণে এ বছর বেফাকের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।’

তিনি আরও জানান, ‘হোয়াটসঅ্যাপে কিংবা টেলিগ্রামে আমরা ঐ সকল জিম্মাদারদের শুধু সংযোগ করছি, যারা মারকাজের জিম্মাদার এবং মারকাজের নেগরানে আ’লা (প্রধান পরীক্ষক)। তাদের ছাড়া অন্য কাউকে আমরা হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা টেলিগ্রামের গ্রুপে সংযুক্ত করছি না।’

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ