শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

ছাত্রকে বেত বা লাঠি দিয়ে মারার বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শিক্ষাঙ্গনে একটি বিষয় প্রচলিত আছে যে, শিক্ষক ছাত্রদের শরীরের যে স্থানে পিটান তা জাহান্নামের জন্য হারাম হয়ে যায়, বিষয়টি কি সহীহ? এমন একটি প্রশ্ন আসে দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে।

জবাবে তারা বলেন, কুরআন-হাদিস ও গ্রহনযোগ্য কোনো কিতাবে আমারা এই বিষয়টি পাইনি যে, উস্তাদ শরীরের যে অংশে পিটান, জাহান্নামের আগুন সেই অংশের জন্য হারাম হয়ে যায়।

বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত মেরদাস রা. কে উদ্দেশ্য করে বলেন, (যিনি বাচ্চাদের পড়াতেন ) ‘বাচ্চাদের তিনটার বেশি মারবে না। যদি তুমি তিনটার বেশি মারো, তাহলে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামত দিবসে তোমার থেকে ক্বিসাস বা বদলা নিবেন’।

ফিকাশাস্ত্রবিদগন এই হাদীসের আলোকে বলেন, শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়ার জন্য উস্তাদ হাতের মাধ্যমে হালকাভাবে বাচ্চাদের মারতে পারবে কিন্তু এক‌ সাথে তিনবারের বেশি নয়।

ইসলামী শরীয়তে বেত, লাঠি, চামড়ার বেল্ট ইত্যাদি দ্বারা কখনও মারা জায়েজ নয়, চাই সেটা এমন বিষয় হোক যা শিক্ষা দেওয়া ফরজে আইন বা ফরজে কেফায়া।

এরকমভাবে পিতা-মাতা শাসন করার জন্য বাচ্চাদের সাধারণভাবে মারতে পারবে। বেত-লাঠি ইত্যাদি দিয়ে মারা জায়েজ নয়। এইজন্য মাদরাসা মক্তবে উস্তাদগনের জন্য বাচ্চাদের বেঁধে বেত-লাঠি, চামড়ার বেল্ট ইত্যাদি দিয়ে মারা জায়েজ নয়।

উস্তাদগনের জন্য এই সমস্ত কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। আদর-স্নেহ-মমতা ও ভালোবাসা দিয়ে পড়ানো উচিত। হ্যাঁ, প্রয়োজনের সময় শাসন করার জন্য হালকাভাবে মারতে পারে। ফতোয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ (ফতোয়া নাম্বার : 305-325/N=4/1439)

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ