আওয়ার ইসলাম: শিক্ষাঙ্গনে একটি বিষয় প্রচলিত আছে যে, শিক্ষক ছাত্রদের শরীরের যে স্থানে পিটান তা জাহান্নামের জন্য হারাম হয়ে যায়, বিষয়টি কি সহীহ? এমন একটি প্রশ্ন আসে দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে।
জবাবে তারা বলেন, কুরআন-হাদিস ও গ্রহনযোগ্য কোনো কিতাবে আমারা এই বিষয়টি পাইনি যে, উস্তাদ শরীরের যে অংশে পিটান, জাহান্নামের আগুন সেই অংশের জন্য হারাম হয়ে যায়।
বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত মেরদাস রা. কে উদ্দেশ্য করে বলেন, (যিনি বাচ্চাদের পড়াতেন ) ‘বাচ্চাদের তিনটার বেশি মারবে না। যদি তুমি তিনটার বেশি মারো, তাহলে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামত দিবসে তোমার থেকে ক্বিসাস বা বদলা নিবেন’।
ফিকাশাস্ত্রবিদগন এই হাদীসের আলোকে বলেন, শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়ার জন্য উস্তাদ হাতের মাধ্যমে হালকাভাবে বাচ্চাদের মারতে পারবে কিন্তু এক সাথে তিনবারের বেশি নয়।
ইসলামী শরীয়তে বেত, লাঠি, চামড়ার বেল্ট ইত্যাদি দ্বারা কখনও মারা জায়েজ নয়, চাই সেটা এমন বিষয় হোক যা শিক্ষা দেওয়া ফরজে আইন বা ফরজে কেফায়া।
এরকমভাবে পিতা-মাতা শাসন করার জন্য বাচ্চাদের সাধারণভাবে মারতে পারবে। বেত-লাঠি ইত্যাদি দিয়ে মারা জায়েজ নয়। এইজন্য মাদরাসা মক্তবে উস্তাদগনের জন্য বাচ্চাদের বেঁধে বেত-লাঠি, চামড়ার বেল্ট ইত্যাদি দিয়ে মারা জায়েজ নয়।
উস্তাদগনের জন্য এই সমস্ত কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। আদর-স্নেহ-মমতা ও ভালোবাসা দিয়ে পড়ানো উচিত। হ্যাঁ, প্রয়োজনের সময় শাসন করার জন্য হালকাভাবে মারতে পারে। ফতোয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ। (ফতোয়া নাম্বার : 305-325/N=4/1439)
এমডব্লিউ/