রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


কোনো ধরণের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই হাটহাজারীতে সম্পন্ন হলো বুখারির শেষ দরস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব।।

বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের আমির শাইখুল হাদিস আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘কখনো কোনো বাতিলের সাথে আপোষ করা যাবেনা।’ গতকাল সোমবার (৮ মার্চ) বাদ এশা আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) শিক্ষার্থীদের সহিহ বুখারির শেষ দরসে তিনি এসব কথা বলেন।

এছাড়া কোনো ধরণের আনুষ্ঠিতকতা ছাড়া বুখারির এ শেষ দরসে তিনি দুটি শর্তে ছাত্রদের হাদিসের এজাজত দেন। এক- ‘আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মতাদর্শের ওপর পূর্ণ অটল থাকতে হবে।’ দুই- ‘কখনো কোনো বাতিলের সাথে আপোষ করা যাবেনা।’

প্রসঙ্গত, প্রচলিত ধারায় চলমান খতমে বুখারি অনুষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার পরিচালনা পরিষদ। গত কয়েকদিন আগে পরিচালনা পরিষদ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন হাটহাজারী মাদরাসার শুরা সদস্য মাওলানা নোমান ফয়েজির সাহেবজাদা মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজি।

হঠাৎ কেন আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার পরিচালনা পরিয়দ এমন সিদ্ধান্ত নিলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার পরিচালনা পরিষদের সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ ইয়াহইয়া হাফিজাহুল্লাহ আওয়ার ইসলামকে জানান, হাটহাজারী মাদরাসার উসূল বহির্ভূত হওয়ায় প্রচলিত এ খতমে বুখারী অনুষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মুফতিয়ে আজম মুফতি ফয়জুল্লাহ রহিমাহুল্লাহ সবসময় এ ধরণের খতমে বুখারিকে বিদআত বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং মানুষকে এ থেকে দূরে থাকতে আহ্বান করেছেন। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে ২০০৮ সালের পর থেকে আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় প্রচলিত এ খতমে বুখারি শুরু হয়। তবে এটি যেহেতু ইসলাম সমর্থণ করে না তাই প্রচলিত ধারায় খতমে বুখারি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে আগামী বুধবার হাটহাজারী মাদরাসায় খতমে বুখারি হবে। যেভাবে অন্যান্য কিতাবও খতম হয় সেভাবেই হবে। বাড়তি কোনো আয়োজন থাকবে না।

‘প্রচলিত খতমে বুখারি বন্ধের সিদ্ধান্ত শুধু এ বছরের জন্য নাকি আর কখনোই হবে না’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার পরিচালনা পরিষদের সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ ইয়াহইয়া হাফিজাহুল্লাহ জানান, আমরা চেষ্টা করবো আর কখনোই যেন প্রচলিত এ খতমে বুখারির মতো কোনোকিছু হাটহাজারীতে চালু না হয়।

হাটহাজারীকে যারা ভালবাসেন তারাও যেন তাদের মাদরাসায় প্রচলিত এ খতমে বুখারির অনুষ্ঠান বন্ধ করেন সে আহ্বান জানান আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার পরিচালনা পরিষদের সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ ইয়াহইয়া হাফিজাহুল্লাহ।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ