কাউসার লাবীব: রাজধানী ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জামেউল উলূম মাদরাসায় সম্প্রতি এ শিক্ষাবর্ষের সমাপন হলো। সাধারণত কওমি মাদরাসার দারুল হাদিস বিভাগের শিক্ষাবর্ষ শেষ হলে পুরো বছরের ব্যবহৃত জিনিসগুলো নিজেদের মধ্যেই বিক্রি করা হয়। এক্ষেত্রে অতি চাহিদার জিনিসগুলো বিক্রি হয় নিলামে। প্রতিযোগিতা হয় স্মৃতি ধরে রাখার।
এরই ধারাবাহিকতায় জামেউল উলুম মাদরাসার শিক্ষাবর্ষ শেষ হলে দরসের অনেককিছুই নিজেদের মধ্যে বিক্রি করা হয়। কিন্তু হাদিসের দরসে যে গ্লাস দিয়ে পানি খেয়েছেন মোহাদ্দিস ও শাইখুল হাদিসগণ, তা নিতে ক্লাসের সবার মধ্যে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। সেই চাহিদা থেকে এটি উঠানো হয় নিলামে।
নিলামে অংশ নেন দারুল হাদিসের ছাত্র ইহসানুদ্দিন সালমান, মুহা. মোস্তফা, তাসবির হুসাইন তাকি, সাইফুল ইসলাম ও মুঈনুল ইসলাম। দাম হাকানোর এক পর্যায়ে হাদিসের দরসের উস্তাদদের বরকত নিতে মাদরাসার মোহাদ্দিস মুফতী গেয়াসুদ্দিনের ছেলে ইহসানুদ্দিন সালমান এ গ্লাস নিলামে কিনে নেন ১১৫০০ টাকায়। জামেউল উলুমের দারুল হাদিসের ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষাবর্ষের শুরুতে এ গ্লাস কেনা হয়েছিল মাত্র ১৭০ টাকায়।
প্রসঙ্গত, এ বছর জামেউর উলুম মিরপুরের শাইখুল হাদিস হিসেবে ছিলেন, আল্লামা আব্দুর রউফ (ঢাকার হুজুর), মুফতী আবুল বাশার নোমানী এবং এই মাদরাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা সুলাইমান নোমানী।
এছাড়া মুহাদ্দিস ছিলেন, মুফতী সিফাতুল্লাহ রাহমানি, মুফতী মাহবুবুল্লাহ কাসেমী, মুফতী আব্দুল আজিজ কাসেমী, মাওলানা আহমদ আব্দুল্লাহ্ চৌধুরী, মুফতী রুহুল আমিন, মুফতী এমদাদুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন ও মুফতী আব্দুল মুনঈম।
-কেএল