রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মহিলা মাদরাসার কেন্দ্রীয় পরীক্ষা: সেরা ফলাফলের কৌশল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রাবেতা হক

দেখতে দেখতে কওমি মাদরাসার ফাইন্যাল পরীক্ষা দোরগোড়ায়। পরীক্ষা জীবনের মাকসাদ নয়; তবে মাকসাদে পৌঁছতে পরীক্ষা দিতে হয়। পরীক্ষা না হলে প্রতিভাবানের প্রতিভার কদর হত না, মেধাবীকে চেনার সুযোগ থাকতো না। বিখ্যাত বিদ্বান জন এ শেড বলেন, ‘আগুন দিয়ে যেমন লোহা চেনা যায়; তেমনি মেধা দিয়ে মানুষ চেনা যায়’। তাই মেধার যাচাই করতেই পরীক্ষা নিতে হয়, দিতে হয়। কিন্তু কথায় আছে, পরীক্ষার্থীর জন্য ‘সম্মান ও লাঞ্চনা’ দু’টি পথই উন্মুক্ত। তাই পরীক্ষার্থী কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, চারপাশ সেটারই অপেক্ষায় থাকে।

পরীক্ষায় সফল হতে সুন্দর প্রস্তুতি ও উন্নত পাঠ পরিকল্পনার বিকল্প নেই। বস্তুত একই প্রশ্ন ও প্রায় অভিন্ন সিলেবাসে পরীক্ষা দিচ্ছে নারী ও পুরুষ উভয়েই। পুরুষের থেকে নারীদের ফলাফল কিছুটা পিছিয়ে। এক্ষেত্রে মহিলা মাদরাসাগুলোর প্রস্তুতি কেমন হবে এবং কীভাবে ভাল ফলাফল আশা করতে পারে? আজ সে বিষয়ে আলোকপাত করতে চাচ্ছি-

প্রথমত লক্ষ্য নির্ধারণ: সবার আগে একজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় ভাল করার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। ভাল করার সংকল্প না করলে ফলাফল ভাল নাও হতে পারে।

মনযোগের সাথে কাজ করা ও চেষ্টা-সাধনা অব্যাহত রাখা: যদি কেউ পরীক্ষায় সফল হতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই মনোযোগের সাথে পড়তে হবে‌। এজন্য সময় হিসেব করে পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে। এতে একজন শিক্ষার্থী কম সময়ে বেশি কাজ করতে পারে। কোরআনে আছে, 'মানুষ যা চেষ্টা করে তা-ই পায়। আর তার কর্মফল তাকে শীঘ্রই দেখানো হবে।- সুরা নাজম; আয়াত ৩৯ ও ৪০

প্রশ্ন পত্র সংগ্রহ করা: বিগত বছরগুলোর প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে তার উপর ধারাবাহিক অনুশীলন করা। প্রশ্নের ধাঁচ বুঝতে চেষ্টা করা ও সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা। পাশাপাশি উন্নত উপস্থাপনার কলা-কৌশল আয়ত্ত করা।

নিজে প্রশ্ন তৈরি করা: সাধারণত মেয়েরা কিতাবের গতিতে ধারাবাহিক পড়তে থাকে। অথচ পরীক্ষা দিতে হয় বিভিন্ন পয়েন্টে প্রশ্ন আকারে। এরকম প্রস্তুতি কতটা যৌক্তিক? তাই গতানুগতিক না পড়ে পয়েন্ট আলাদা করে প্রশ্ন তৈরি করে পড়তে হবে। প্রতিটি পাঠকে পয়েন্টভিত্তিক আত্মস্থ করলে পরীক্ষায় অবশ্যই ভাল ফলাফল আশা করা যাবে।

উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ এর কারণে মাদরাসা বন্ধ থাকায় সব প্রতিষ্ঠানেই পূর্ণ সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হয়নি। তাই কিতাবের প্রথম দুইভাগ গুরুত্বসহকারে পড়লেই যথেষ্ট হয়ে যাবে।

এছাড়াও কাঙ্খিত সফলতা অর্জন করতে চেষ্টা-সাধনার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে অবিরাম দুয়া করতে হবে। কেননা,পরিশ্রম বান্দার কাজ আর পূর্ণতায় পৌঁছানো আল্লাহর কাজ। আল্লাহ সকল পরীক্ষার্থীকে কামিয়াবী দান করুন।

লেখক- প্রধান শিক্ষিকা, মানারাতুল উলুম মহিলা মাদরাসা, উত্তর বালুচর, সিলেট।

প্রসঙ্গত, কওমি মাদরাসার কেন্দ্রীয় পরীক্ষাকে সামনে রেখে আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম আয়োজন করছে ‘পরীক্ষা বিষয়ক শিক্ষাপরামর্শ’। এ আয়োজনের লেখাগুলো পাবেন আমাদের  ‘শিক্ষাঙ্গন’ ক্যাটাগড়িতে।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ