কাউসার লাবীব।।
সাব-এডিটর
গতকাল কুমিল্লা’র মনোহরগঞ্জ উপজেলার বান্দুয়াইন এলাকায় মুফতি দিলাওয়ার হোসাইনের গ্রামের বাড়ির মাদরাসার মাহফিলে উপস্থিত হয়েও বয়ানে প্রশাসনিক বাধার সম্মুখীন হন বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলাম’র কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা মহানগীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। তবে মাহফিলের একেবারে সমাপ্তিলগ্নে উপস্থিত শ্রোতাদের শান্ত করতে ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ থেকে তিনি কয়েক মিনিট কথা বলেন।
এ সময় মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘আমি মাহফিল করার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই।’ যখন আমি ব্যক্তিগতভাবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অথরিটির কাছ থেকে এটি জেনেছি; তখনই এ মাহফিলে এসেছি। এরপরও আমাকে এখানে আলোচনা করার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করা হলো। এসব পর্যবেক্ষণের পর আমার একটি আশঙ্কা হচ্ছে যে, ‘প্রশাসনের কিছু লোক সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
তিনি বলেন, আমার একটি সন্দেহ সংশয়, ‘তারা চাচ্ছে সরকারের সঙ্গে, রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের একটি সংঘাত তৈরি করে দিতে।’ কেননা ‘একদিক দিয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা আমাকে বলছে আপনি মাহফিল করেন; আরেকদিকে প্রশাসনের নিম্নশ্রেণীর কিছু কর্মকর্তারা এসব সঙ্কট তৈরি করছেন’। এর কারণটা কী? এরপর উপস্থিত শ্রোতাদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আমি বলবো, আপনারা শান্ত হোন। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে যার যার বাড়ি ফিরে যান। আল্লাহ চাহে তো অল্প সময়ের ব্যবধানে আবার আপনাদের সঙ্গে দেখে হবে। ইনশাআল্লাহ।
কুমিল্লার এ মাহফিলের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতরাতে মাহফিলে মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ্ আইয়ুবীর আলোচনা করার বিষয়ে প্রশাসন কড়া অবস্থান গ্রহণ করলে বয়ানরত মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন হঠাৎ করেই মাহফিলের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। জনগণ ‘মামুনুল হক, মামুনুল হক’ বলে অব্যাহত শ্লোগান প্রদান করে মাঠে অবস্থান গ্রহণ করে। তারা মাওলানা মামুনুল হকের কথা না শুনে মাঠ ছাড়তে রাজি নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এরপর উপস্থিত মানুষের দাবির মুখে মাওলানা মামুনুল হককে মাহফিল কর্তৃপক্ষ কিছুক্ষণের জন্য স্টেইজে আনেন এবং তিনি কোনো আলোচনা না করেই স্টেজ ছাড়েন। কিন্তু এ সময় জনগণ তার গাড়ির গতিরোধ করেন এবং মাওলানা মামুনুল হকের আলোচনা না শুনে মাঠ ছাড়বে না বলে ঘোষণা দেন। পরিশেষে মাওলানা মামুনুল হক আবার স্টেইজে আসেন। অল্প কিছু সময় কথা বলে মাহফিল থেকে বিদায় নেন।