রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


পরীক্ষার হলে করণীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দরজায় কড়া নাড়ছে কওমি মাদরাসার বিভিন্ন জামাতের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা। এবার কোভিড-১৯ এর কারণে শিক্ষাবর্ষের সময় কম হলেও কমেনি পরীক্ষার সিলেবাসের পরিমাণ। তাই অল্প সময়ে দীর্ঘ এ নেসাব থেকে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার কলাকৌশল বিষয়ে অনলাইন সংবাদ মাধ্যম আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম আয়োজন করেছে পরীক্ষা বিষয়ক শিক্ষাপরামর্শ ‘পরীক্ষার ভালো প্রস্তুতি ও সেরা ফলাফলের কৌশল’। আজ থাকছে পর্ব- ৪

লিখছেন দারুল উলুম রামপুরা বনশ্রী মাদরাসার উস্তাযুল হাদিস, দারুল উলুম দেওবন্দের ফাজেল ‘মাসুম আবদুল্লাহ’


(গত পর্বের পর)
পরীক্ষা শুরু হবার পূর্বমূহুর্তে করণীয়
পরীক্ষার হলে প্রবেশের অন্তত ২০/৩০ মিনিট পূর্বে পড়া-লেখা ও মুজাকারা বন্ধ করবে। নাস্তা ও ওযু-এস্তেন্জা সেরে দু-চার রাকাত সালাতুল হাজাত পড়বে। নামায শেষে যে কিতাবের পরীক্ষা, তার লেখক, শরাহকার ও ওস্তাদের জন্যে অতি সংক্ষেপে দোয়া করবে। এর পর দুরুদ শরীফ পড়তে পড়তে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করবে।

পরীক্ষার হল দূরে হলে—হাতে সময় নিয়ে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বের হবে। পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়ের কমপক্ষে ১৫/২০ পূর্বেই হলে পৌঁছার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। প্রয়োজনে আগে থেকে কোনো প্রাইভেট যানবাহন ঠিক করে রাখবে। টাকা খরচ হলেও সময় বাঁচবে। সস্তি নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তার ব্যাপার তো আছেই।

পরীক্ষার হলে করণীয়
আপন আসন ও সীট খুঁজে পাওয়ার পর চুপচাপ সেখানে বসে দোয়া-কালাম পড়তে থাকবে। এসমায় সূরা ‘নুন’ বা কলাম পড়া যেতে পারে। সুরাটি মুখস্থ না থাকলে দুরুদ শরীফও পড়া যায়।
হাতে উত্তরপত্র পাওয়ার পর মাথা ঠান্ডা রেখে উত্তরপত্রে শুরুপৃষ্ঠা পূরণ করবে। প্রথমপৃষ্ঠার প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি সংযুক্ত করার পর খাতা ভাজ করে নেবে। অথবা খাতায় মার্জিন টেনে নেবে।

উত্তপত্রের সাজ-গুজ
মাথা ঠান্ডা রেখে খাতার প্রথম পৃষ্ঠার প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি সংযুক্ত করার পর খাতা ভাজ করে নেবে। বাংলায় উত্তর দিলে—পৃষ্ঠার উপরে ও বামে এক স্কেল জায়গা ছেড়ে মার্জিন দিয়ে নেবে। আর আরবীতে উত্তর লিখলে—উপরে ও ডানে জায়গা ছেড়ে মার্জিন টানবে। চতুর্দিকেও নির্দিষ্ট পরিমান জায়গা ছেড়ে মার্জিন টানা যায়—তবে এটি নাকি নিয়ম বহির্ভূত। মার্জিন টানতে লাল রঙ ছাড়া যে-কোনো মার্জিত রঙের কলম ব্যবহার করা যায়। পরীক্ষার খাতায় লাল রঙ্গের কালি দিয়ে কিছু লিখবে না। অনুরূপভাবে দেখা যায় না বা ফুটে ওঠে না কিংবা কিছুক্ষণ পর থাকে না—এমন হালকা রঙ্গের কোনো কালিও পরীক্ষার উত্তরপত্রে ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

উত্তর লেখার পূর্বে প্রশ্ন বুঝে নেয়া বাঞ্ছনীয়
উত্তর লেখার জন্যে তাড়াহুড়ো করবে না। ধীর-শস্তিতে উত্তর লেখা শুরু করবে। উত্তর লেখা শুর করার পূর্বে অবশ্যই পুরো প্রশ্ন একবার পড়বে। পুরো প্রশ্ন আগাগোড়া একবার পড়ে নেবে। অনেক সময় কোনো প্রশ্নের উত্তর বাধ্যতা মূলক থাকে, কোনো বিকল্প প্রশ্ন থাকে, অপর পৃষ্ঠায় প্রশ্ন থাকে। তাই আগাগোড়া পুরো প্রশ্ন পড়তে ভুল করবে না। পুরো প্রশ্ন পড়ার পর দেখবে কোনো প্রশ্ন তোমার কাছে অস্পষ্ট কিনা? তোমার বুঝতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা? প্রশ্নের জবাব কোত্থেকে শুরু করবে—খুঁজে পাচ্ছ কিনা? অসুবিধা হলে হল নেগরানদের শরণাপন্ন হবে। সুন্দর করে প্রথমে প্রশ্ন বুঝবে। কোনো প্রশ্নে অস্পষ্টতা থাকলে স্পষ্ট করে নেবে। সন্দেহে-সংশয় দূর করে নেবে। কোন প্রশ্নের উত্তর সবচেয়ে সহজ বা কম লেখা—সে প্রশ্নের উত্তর দিয়েই উত্তর লেখা শুরু করবে।

সময় ভাগ করে উত্তর লেখা উচিৎ
উত্তর লেখা শুরু করার পূর্বে প্রথমে পরীক্ষার নির্ধারিত সময়কে চার ভাগে ভাগ করে নেবে। একভাগ সময় প্রশ্ন বুঝা ও উত্তরপত্র পুনঃদেখার জন্যে। আর তিনভাগ তিনটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্যে। উত্তর লেখার সময় উক্ত বণ্টিত সময়ের প্রতি খেয়াল রাখবে। কোনো ক্রমেই যেনো বণ্টিত সময়ে এতটুকু হেরফের না হয়। এভাবে উত্তর লেখলে পুরো উত্তরপত্রের উপস্থাপন ও হস্তাক্ষর একরকম থাকবে। যা ভালো ফলাফলের অন্যতম বৈশিষ্ট।

উত্তর লেখার নিয়ম
প্রথমে কত নম্বর প্রশ্নের উত্তর লিখছ—তা (মার্জিত রঙের) রঙিন কলম দিয়ে বড় করে পৃষ্ঠার উপরে মাঝামাঝিতে লিখবে। তারপর রঙিন কালি দিয়ে কত নম্বর জুয বা অংশের উত্তর দিচ্ছ—তা লিখবে।

প্রত্যেকটি উত্তরের জন্যে শিরোনাম ও সাইড শিরোনাম বা ছোট শিরোনাম বানিয়ে উত্তর গুছিয়ে লেখবে। শিরোনামগুলো মার্কারপেন দিয়ে লিখবে। অন্তত শিরোনামের নিচে মার্কারপেন দিয়ে মার্ক করে দেবে। উপরে-নিচে জায়গা ছেড়ে শিরোনাম লিখবে। প্রধান শিরোনাম লিখতে উপরে কমপক্ষে দুই/আড়াই ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে লিখবে। সাইড শিরোনাম বা ছোট শিরোনাম লিখতে কমপক্ষে এক/দুই ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে লিখবে। যাতে প্রথম দৃষ্টিতেই পরীক্ষক খাতার কোথায় কী আছে অনায়েসেই বুঝে নিতে পারেন। খাতা পড়া ছাড়াই যেনো পরীক্ষক সব উত্তর পেয়ে যান—সেভাবে সুস্পষ্ট-সুন্দরাক্ষরে সাজিয়ে-গুছিয়ে উত্তর লেখবে।

প্রতিটি প্রশ্নের প্রতিটি জুযের উত্তর আলাদা লিখবে
প্রতিট প্রশ্নের প্রতিটি জুযের আলাদা উত্তর লিখবে। সংজ্ঞা ও সংখ্যা ইত্যাদি পৃথক পৃথক গুছিয়ে লিখবে। উত্তর লেখতে গিয়ে কোনো জুয বা শেক ছাড়বে না। ভালোভাবে উত্তর জানা না থাকলেও কোন জুযের উত্তর দেয়া ছাড়বে না। যতটুকু মনে পড়ে, যাই মনে পড়ে—লিখবে। অনুমানের উত্তরও অনেক সময় সঠিক হয়ে যায়। তাছাড়া আংশিক শুদ্ধ উত্তর লিখলেও নম্বর পাওয়া যায়। পুরো নম্বর না পাওয়া গেলেও কিছু তো পাওয়া যাবে। পরীক্ষায় একআধটু নম্বরের কারণেও অনেক কিছু ঘটে।

সহজ সাবলীল ভাষায় উত্তর লিখুন
যে ভাষাটি আপনার জন্য সহজ ও সাবলীল সে ভাষাতে পরীক্ষার উত্তর লিখুন। যে ভাষায় আপনি লিখে অভ্যস্ত সে ভাষায়-ই উত্তর লিখুন। পরীক্ষার হলে বসে হুট করে নতুন কোনো ভাষায় উত্তর লেখার সিদ্ধান্ত নি:সন্দেহে আত্মহত্যার শামিল। কোনো ধরণের পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া নতুন কোনো ভাষায় উত্তর লেখার সিদ্ধান্ত উত্তরের মানকে অবশ্যই নিম্ন-নীচু করে দেবে। যা আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনে বাঁধ সাধতে পারে। তাই বছরের শুরু থেকেই ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন আপনি কোন ভাষায় পরীক্ষার উত্তর লিখতে চান। নানা অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে সে ভাষাতেই গড়ে তুলুন। আপনার ফলাফল অবশ্যই ভালো হবে।

এর বিপরীতে যদি আপনি আপনার শেখা ও অনুশীলন না করা ভাষায় পরীক্ষার খাতায় লিখতে যান—তবে আপনি নিশ্চিত হোঁচট খাবেন। অন্তত আপনার উত্তরের মান সেরা ও শ্রেষ্ঠ হবে না তা সহজেই বলা যায়।

তাই পরীক্ষার হলে হুট করে সিদ্ধান্ত না নিয়ে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিন—কোন্ ভাষায় পরীক্ষার উত্তর লিখবেন। কোন ভাষাটি আপনার জন্য সহজ ও সম্ভাবনাময়ী—তা আগে থেকেই ঠিক করুন। উত্তর লেখার জন্যে অনুশীলনের মাধ্যমে সে ভাষাকেই রপ্ত করুন। ভালো হবে।

সম্ভব হলে আরবিতে উত্তর লিখুন
মার্জিত সুস্পষ্ট সুন্দর ঝকঝকে বাংলাভাষায় উত্তর লিখুন। বিশুদ্ধ উর্দু জানা থাকলে তাতেও উত্তর লিখতে পারেন। তবে বিশুদ্ধ উর্দু বাঙালীদের জন্য রপ্ত করা আসলেই কঠিন। বিশেষত লেখায়। তাই উত্তর লেখায় উর্দু পরিহার করাই উচিৎ। তবে ভালো হয়—আরবিতে উত্তর লিখলে। আরবিতে উত্তর লিখলে সহজেই পরীক্ষককে প্রভাবিত করা যায়। অনেক সময় আরবিতে উত্তরদাতাদের প্রতি পরীক্ষকের দয়াও হয়। যে-কারণে তুলনামূলক নাম্বার বেশি পাওয়া যায়। তাছাড়া আরবিতে উত্তর লিখলে অল্পতে অল্প সময়ে উত্তর লেখা সম্ভব হয়।

আরবিতে উত্তর লেখা একদম সহজ
যাদের কিতাবের ‘ইবারত’, ‘হাশিয়া’ ও ‘বাইনা সতর’ পড়ার অভ্যাস আছে—তাদের জন্য আরবিতে উত্তর লেখা তো একদম সহজ। আর যাদের আরবি শরাহ-শুরুহাত দেখার অভ্যাস আছে তাদের জন্যও বিষয়টি সহজহ।

তাছাড়া উপরের ছাত্রদের প্রশ্ন যেহেতু আরবিতে হয় তাই আরবিতে উত্তর দেয়াও সহজ। কারণ প্রশ্নের মাঝেই তো অনেক সময় অর্ধেক উত্তর লুকায়িত থাকে। বাকিটুকু আপনি আপনার পড়া ইবারত-হাশিয়া-শরাহ থেকে যুক্ত করুন। তারপরও কিছু বাকি থাকলে নিজের থেকে সংযুক্ত করুন। অবশ্য—নিজের থেকে সামান্য পরিমানই যুক্ত করতে হবে। তাই ভয়ের কিছু নেই। সাহস করুন হয়ে যাবে। ইনাশাআল্লাহ।

ইচ্ছা, সৎসাহস ও নিয়মতান্ত্রিক অনুশীলনের মাধ্যমে যে-কোনো ভাষায় উত্তর লেখার অভ্যাস গড়া যেতে পারে অতি সহজে। বিশেষত উপরের জামাতের ছাত্ররা একটু সাধারণ অনুশীলন ও সৎসাহস করলেই আরবিতে উত্তর লিখতে পারবেন। বড়দের জন্য আরবিতে উত্তর লেখা খুব কঠিন কিছু নয়। উপরের জামাতগুলোতে আরবিতে উত্তর না লিখলে ভালো ফলাফল করা অসম্ভব। অসম্ভব না হলেও দুরূহ ও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই আরবিতে উত্তর লেখার অনুশীলন করুন। অভ্যাস করুন। শ্রেষ্ঠ ফলাফল আপনার পদচুম্বন করবেই ইনশাআল্লাহ।

উত্তরপত্রে ভাষার মিশ্রণ ঘটাবেন না
উত্তর লেখার শুরুতেই কোন ভাষায় উত্তর লিখবেন তা ঠিক করে নিন। উত্তরপত্রে ভাষার মিশ্রণ ঘটাবেন না। আরবি বাংলা উর্দু যখন যেটা মন চাইল বা যেভাবে পারলেন উত্তর লিখলেন তা চলবে না। যে-কোনো এক ভাষায় উত্তর লিখবেন।
অবশ্য হেড লাইন বা বড় শিরোনামগুলো প্রশ্নপত্রের মতো আরবিতে লেখা যেতে পারে। যেমন, الجواب عن السوال الأول/الثانى/الثالث অনুরূপভাবে— ج/ب/الفইত্যাদিও লেখা যেতে পারে। তবে সংজ্ঞা ও শাস্ত্রিয় পারিভাষিক পরিচয়গুলো আরবিতে লিখে বাংলায় অনুবাদ লিখলে ভালো হয়। এ ছাড়া অন্যাপন্য বিষয়ে উত্তরপত্রে ভাষার মিশ্রণ নিন্দনীয়।

আঞ্চলিক ভাষা ও সাধু-চলতির মিশ্রণ পরিহার করুন
ভাষার মিশ্রণ যেমন বলার ক্ষেত্রে দোষণীয় তদ্রæপ লেখার ক্ষেত্রেও নিন্দনীয়। বিশেষত পরীক্ষার উত্তরপত্রে। কোনোক্রমেই যেনো আঞ্চলিক শব্দ লেখায় না আসে সে দিকে যতœসহ খেয়াল রাখতে হবে। পানি লিখতে গিয়ে হানি, পড়া লিখতে গিয়ে ফরা, খাতা লিখতে গিয়ে হাতা, কথা লিখতে গিয়ে কতা ইত্যাদি যেনো না হয়। যত্নসহ খেয়াল রাখতে হবে। বেখেয়ালে এমন কোনো ভুল যেনো সংগঠিত না হয়। অবশ্য—কোনো কোনো অঞ্চলের ভাষা কথা ও লেখায় ব্যবহার হয়। এমন আঞ্চলিকতায় কোনো অসুবিধে নেই।

উত্তরপত্রে ভুল বানান পরিহার করুন
বাংলা আরবি ইংরেজি উর্দু ফার্সি যে ভাষাই হোক, বানানে ভুল অকাম্য। উত্তরপত্রে ভুল বানান অমার্জনীয় অপরাধ। ভুল বানান শব্দের অর্থ পাল্টে দেয়। বরং কথার বিকৃতি ঘটায়। সর্বপরি ভুল বানান ভালো নম্বর ও শ্রেষ্ঠ ফলাফলের পথে বড় বাধা।
বিশেষত সহজ ও প্রসিদ্ধ শব্দে। সহজ ও প্রসিদ্ধ শব্দের বানানে ভুল করলে পরীক্ষক চটে যান। পরীক্ষকের আস্থা নষ্ট হয়ে যায়। যে-কারণে পরীক্ষক সে খাতা গভীর ও উদার দৃষ্টিতে দেখেন না। ফলে কখনো কাক্সিক্ষত নম্বর পাওয়া কষ্টকর হয়ে যায় বরং আশানুরূপ নম্বর পাওয়া অসম্ভব হয়ে যায়।

বিশুদ্ধ বানান রপ্ত করার সহজ উপায়
পড়ার সময় খেয়াল করে পড়ুন। কঠিন বা নতুন শব্দ আসলে তার বানানে অতিরিক্ত মনোযোগ দিন। রাফ খাতায় লিখুন। নোটবুক বা ডায়রিতে লিখে রাখুন। অন্তত শব্দটিকে মার্ক করে রাখুন। আন্ডার লাইনও করে রাখতে পারেন। দেখবেন খুব সহজে

আপনার বানান ঠিক হয়ে যাচ্ছে।
অনুরূপভাবে যে শব্দের বানানোর ব্যাপারে আপনার একবার সন্দেহ সৃষ্টি হয় বই থেকে খুঁজে সে শব্দের বানান দেখে নিন। অথবা অভিধান ঘেটে তার বানান নিশ্চিত হয়ে নিন। কিংবা যে জানে তার শরণাপন্ন হয়েও আপনি শব্দের বানান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন। এভাবে চেষ্টা অব্যাহত থাকলে বিশুদ্ধ বানান লিখতে আপনি এমনিতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন ইনশা-আল্লাহ! (চলবে)

এ আয়োজনের বাকি পর্বের লেখাগুলো আমাদের  ‘শিক্ষাঙ্গন’ ক্যাটাগড়িতে পাবেন।

-কেএল

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ