মোস্তফা ওয়াদুদ
নিউজরুম এডিটর
এখন আর মাহফিলের জন্য অগ্রীম টাকা গ্রহণ করেন না দেশের সারাজাগানো ওয়ায়েজ মাওলানা আব্দুল খালেক শরিয়তপুরী। বিষয়টি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ সালে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার কুশুড়া ইউনিয়নের একটি মাহফিলের দাওয়াত অগ্রীম টাকা নিয়ে কনফার্ম করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে সে দাওয়াতে উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য সারাদেশে তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে।
এরপরই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাহফিলে না যাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। সেখানে দুঃখ প্রকাশ করে শরীয়তপুরী বলেন, ‘আমি বেশ কয়েক দিন থেকে প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত। যার কারণে শারিরীকভাবে খুবই অসুস্থ ও দূর্বল হয়ে পড়ায় জানুয়ারির শুরু থেকে নির্ধারিত মাহফিলগুলোতে উপস্থিত হতে পারিনি। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
দুঃখপ্রকাশ করে পোস্ট করার দিন রাতেই নতুন এক পোস্টে অগ্রীম টাকা না নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই (আমাকে জড়িয়ে) টাকা পয়সার বিষয়ে কথা বলছেন, কিন্তু আমি বর্তমানে কোন মাহফিলের দাওয়াত নিতে অগ্রীম টাকা গ্রহণ করি না।’
অতীতে কারো থেকে অগ্রীম টাকা নিলে ফেরত দিতে বাধ্য তিনি। এমন কথা উল্লেখ করে মাওলানা আব্দুল খালেক শরীয়তপুরী লিখেন, ‘তবে অতীতের কোন ঘটনায় এরুপ হয়ে থাকলে, আমি তাঁদের টাকা ফেরৎ দিতে বাধ্য। এ ক্ষেত্রে আমার মাদরাসায় যে কোন শুক্রবার বাদ জুমা সরাসরি সাক্ষাৎ করে উপযুক্ত প্রমাণাদি পেশ করলে, আমি সে পাওনা মিটিয়ে দিব ইনশা-আল্লাহ।’
শরীয়তপুরীর বাবা একজন রিক্সাচালক। সোশ্যাল মাধ্যমে এমন খবর প্রচারিত হলে টনক নড়ে সাধারণ জনতার। যার বয়ানে হেদায়াতের খোরাক পান সাধারণ মানুষ। তিনি কিনা নিজের বাবার খরবই রাখেন না? থাকেন আলাদা। বাবা-মাকে নিয়ে ভাইরাল হয় তার ফোন রেকর্ডও। নিজের জন্মদাতা বাবা-মাকে ‘অন্যরকম’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এরপরই তার বিষয়ে সমালোচনা আসতে থাকে চারিদিকে। অবশেষে গত ২৯ ডিসেম্বর সব ভুলে নিজের বাবাকে আপন বাসায় নিয়ে আসেন মাওলানা আব্দুল খালেক শরীয়তপুরী। নিজেদের ভেতরের সকল বিষয় মীমাংসা করে নেন তারা।
এমডব্লিউ/