আওয়ার ইসলাম: অতিরিক্ত ওজনের জন্য অনেকেই নিজের ওপর বিরক্ত। অনেক চেষ্টার পরও কিছুতেই কমছে না অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন। অনেক ডায়েট ও এক্সারসাইজেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। ঠিকঠাক ডায়েট মেনে চললে নিজের ইচ্ছামত ওজন কমানো কোনও ব্যাপারই না।
ডিটক্স ডায়েট: সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু দিয়ে শরবত বানিয়ে খেলে অথবা এক চা চামচ আদাবাটা দিয়ে খেলে ওজন হ্রাস পাবে। ডিটক্স ডায়েট হিসাবে সকালে শসাও খাওয়া যেতে পারে। শসার কয়েকটি স্লাইড, পুদিনা পাতা, এক চা চামচ আদা, খানিকটা বিট লবণ এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করুন। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে নিজেই অনুভব করতে পারবেন পরিবর্তনটা। এছাড়া অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারও খাওয়া যেতে পারে। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে খেলে অনেক উপকারে আসবে।
ব্রেকফাস্ট: ব্রেকফাস্টে ফাইবার সমৃদ্ধ ওটমিল রাখুন। ওটমিল ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন। এতে করে শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে ও কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। প্রতিদিন ওটস খেতে ভালো না লাগলে দুধ দিয়েও খেতে পারেন। বিকল্প হিসেবে রয়েছে প্যানকেক। এছাড়াও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন-টি দ্রুত মেটাবলিজম প্রক্রিয়ায় কাজ করে। যা সহজেই আপনার ওজন কমিয়ে আনবে।
লাঞ্চ ও ডিনার: দুপুর ও রাতে ভারী খাবারের তালিকায় ফাইবার, ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেলস সমৃদ্ধ পুষ্টি উপাদান খাবার রাখুন। এক থেকে দেড় কাপ চালের ভাত, দুটো রুটি, এক বাটি ডাল, এক বাটি তরকারি এবং এক পিস মাছ বা চিকেন। মনে রাখতে হবে এসব খাবার যেন খুব বেশি স্পাইসি না হয়। বয়েলড ভেজিটেবল, ব্রাউন রাইস এবং গ্রিলড ফিশ খেতে পারলে আরও ভালো।
ইভিনিং স্ন্যাক্স: বিকেলে হালকা খাবারে এক মুঠো বাদাম, স্প্রাউটস, মুড়ি, ডাবের পানি বা ব্রাউন ব্রেড স্যান্ডুইচ গ্রিল করে খেতে পারেন। তবে যা কিছুই খান না কেন খাওয়ার পর এক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে হবে। এতে পেট ভর্তি থাকলে ইম্পালসিভ ইটিং-এর সমস্যা হয় না। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
-এএ