আওয়ার ইসলাম: অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে সহায়তা করে।
গ্যাস্ট্রিকের সাধারণ উপসর্গ: পেটে অস্বস্তি অনুভব বিশেষ করে খালি পেটে। বমি বমি ভাব বা বমি করা। পেট ফাঁপা বেড়ে যাওয়া। কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা নরম হওয়া। ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া।
গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে নিচের ৬ খাবার কার্যকরী
জোয়ান: এটি হজমে চমৎকারভাবে সাহায্য করে। এটি হজম শক্তি বাড়ায় ও হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। গ্যাস অম্বলের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। এক চামচ জোয়ান এক চিমটি লবণের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি পান করে নিতে পারেন।
মৌরি: এটি ভালো হজমে সহায়ক। সেদ্ধ করা মৌরি বীজ এবং তার পানি পেট ফাঁপা কমাতে সহায়তা করে। সারা রাত ভিজিয়ে রাখা মৌরির পানি খাবার পর খেয়ে নিন। চাইলে উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার চায়ের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।
দই: ল্যাকটোব্যাকিলাস, অ্যাসিডোফিলাস ও বিফিডাসের মতো নানা উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে দইয়ে। দই খেলে হজম ভালো হয়, গ্যাস কমে। খাবারের পর টকদই খাওয়া বেশ কার্যকর।
মধু: গবেষণায় দেখা গেছে, এক চা চামচ মধু উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে খেলে গ্যাস্ট্রিক উপশমে সহায়তা করে। সকালে লেবু-মধু এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে।
ধনেপাতা: এটি অ্যাসিডিটি সমস্যা সমাধানে কার্যকরী। ধনেপাতার জুস এ ক্ষেত্রে চমৎকার কাজ করে। পানি বা বাটার মিল্কের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার তরকারি ধনেগুঁড়া দিয়েও রান্না করতে পারেন।
ফল: সব ধরনের ফল বিশেষ করে টক জাতীয় ফল গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। এতে থাকা ফাইবার হজম এবং স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন দুটি করে যেকোনো ফল গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
-এএ