।।মোস্তফা ওয়াদুদ।।
<নিউজরুম এডিটর>
আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের ১৪৪১ হিজরী, ২০২০ ঈসাব্দের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় অংশ নেয়া ছয় বোর্ডের শীর্ষে রয়েছে বেফাক বোর্ড। ফলাফল প্রকাশের তালিকায় দেখা যায়, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বোর্ড থেকে অংশ নিয়েছিলো ১৮২১৩ জন শিক্ষার্থী। এর মাঝে মুমতাজ পেয়েছে ৭৯৭জন। জায়্যিদ জিদ্দান পেয়েছে ৩৩৭৮ জন। জায়্যিদ ৫৮১৩ জন ও মাকবুল হয়েছেন ৩২০৮ জন শিক্ষার্থী।
আর সবচেয়ে নিম্মে রয়েছে গহরডাঙ্গা মাদরাসা কেন্দ্রিক পরিচালিত বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া বাংলাদেশ। ফলাফল প্রকাশের তালিকায় দেখা যায়, এ বোর্ড থেকে তাকমিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৪৯১ জন শিক্ষার্থী। এর মাঝে মুমতাজ পেয়েছেন মাত্র ১ জন। জায়্যিদ জিদ্দান ২৬ জন। জায়্যিদ ১৩১ জন।
এদিকে ৭৫ জন মুমতাজ পেয়ে দ্বিতীয় নাম্বারে আছে তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ। এ বোর্ডের মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ১১০১ জন। এর মাঝে ৭৫ জন পেয়েছেন মুমতাজ। ৩৮৯ জন পেয়েছেন জায়্যিদ জিদ্দান। আর ৪১৮ জন জায়্যিদ স্থান লাভ করেছেন।
আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ রয়েছে হাইয়ার তৃতীয় স্থানে। তাদের মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৮৭৩ জন। এর মাঝে মুমতাজ বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৯ জন। এছাড়া ২২৫ জন জায়্যিদ জিদ্দান ও ৩২৬ জন জায়্যিদ হয়েছেন।
আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তালিম বাংলাদেশ বোর্ড চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সিলেট কেন্দ্রিক পরিচালিত এ বোর্ড থেকে তাকমিলে মোট অংশ নিয়েছিলো ছিল ১২৭৪ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে মুমতাজ হয়েছেন ৪৯ জন। জায়্যিদ জিদ্দান হয়েছেন ২১৮ জন। আর জায়্যিদ ৩৯২ জন।
পঞ্চম স্থানে আছে জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ। ফলাফল প্রকাশের তালিকায় দেখা যায়, তাদের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৮৮ জন। তন্মধ্যে মুমতাজ পেয়েছেন ৮ জন। জায়্যিদ জিদ্দান হয়েছেন ৩৫ জন। আর জায়্যিদ ৯২ জন।
এছাড়া সারাদেশের মেধা তালিকায় পুরুষ বিভাগে প্রথম হয়েছেন হাটহাজারীর আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলামের শিক্ষার্থী শরীফ মুহা. ইসমাইল। তার প্রাপ্ত নাম্বার ৯২৪।
পুরুষ বিভাগে দ্বিতীয় হয়েছেন আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া, পটিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী সাকের উল্লাহ। তার প্রাপ্ত নাম্বার ৯২১। তৃতীয় হয়েছেন আল জামিয়াতুল আরাবিয়া শামসুল উলুম কারবালা মাদরাসা, নিশিন্দারা বগুড়া মাদরাসার জোবায়ের আহমদ। তার প্রাপ্ত নাম্বার ৯১৯।
সারাদেশের মেধা তালিকায় মহিলা বিভাগে ১ম হয়েছেন মাদরাসা ফাতেমাতুজ্জুহরা রা., বাড়ি-১, রোড-১, ব্লক-বি, সাত মসজিদ হাউজিং লিমিটেড, মুহাম্মদপুর, ঢাকার শিক্ষার্থী নাঈমা হুসাইন। তার প্রাপ্ত নাম্বার ৯১৯।
এছাড়া দ্বিতীয় হয়েছেন জামি’আ মিল্লিয়া মাদানিয়া আরাবিয়া (মিরপুর আজমা মহিলা মাদরাসা) পল্লবী, মিরপুর, ঢাকার শিক্ষার্থী মারিয়া তাবাসসুম। তার প্রাপ্ত নাম্বার ৮৮৪। আর তৃতীয় হয়েছেন দুজন। একজন ময়মনসিংহের মিফতাহুল জান্নাত গলগণ্ডা মহিলা মাদরাসার ছাত্রী সানজিদা সাউদা ও শরিয়াতপুর জেলার ভেদরগঞ্জ বেগম লুৎফুন্নেসা মহিলা মাদরাসার ছাত্রী সাওদা আখতার। তার প্রাপ্ত নাম্বার ৮৬৯।
আজ শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ফলাফল ঘোষণা করেন আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান।
মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২,৩৪২ জন, মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬,২৩২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১১,৩৮০ জন এবং ছাত্রী ৪,৮৫২ জন। পরীক্ষার গড় পাসের হার ৭২.৬৫। ছাত্রদের পাশের হার ৮২.১০ আর ছাত্রীদের পাশের হার ৫৭.২১।
মুমতায (স্টার মার্ক) পেয়েছে ছাত্র ৯৩৩ জন এবং ছাত্রী ৫৬ জন। জায়্যিদ জিদ্দান (১ম) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ৩,৫০০ জন, ছাত্রী ৭৭১ জন। জায়্যিদ (২য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ৪,৮৯১ জন, ছাত্রী ২,২৮১ জন এবং মাকবূল (৩য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ২,০৫৬ জন, ছাত্রী ১,৭৪৪ জন।
এমডব্লিউ/