শীতল আবহাওয়া গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে আরও রক্ত প্রেরণের মাধ্যমে শরীরকে তাপ সংরক্ষণ করে তোলে। ফলে কাঁধ, বাহু, পা এবং হাঁটুর সংযোগস্থান সংকুচিত হয়ে রক্তবাহী হয়। এটি দেহের এই অঞ্চলগুলোকে শক্ত করে তোলে, যা অস্বস্তি এবং ব্যথার জন্ম দেয়। তবে কিছু বিষয়ে আপনি সতর্ক থাকরে এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন। যেমন-
কর্মক্ষম থাকা: শরীরে ব্যথা থাকার কারণে শরীরচর্চা বাদ দেওয়া যাবে না। তবে বিশেষ কোনো বা নির্দিষ্ট অংশে ব্যথা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। স্ট্রেচিং, দ্রুত হাঁটা চলা ও ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য হালকা শরীরচর্চা ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া: প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। পেশির ব্যথা কমবে ও শরীরের অন্যান্য কার্যকলাপ সক্রিয় থাকবে।
সঠিক মাত্রায় পানীয় পান: শুষ্ক বাতাস ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া পানি শূন্যতার সৃষ্টি করে। ফলে ক্লান্ত অনুভূত হয় ও আলসেমি লাগে। তাই এই সময় পানি পান অবহেলা করা যাবে না। দৈনিক কমপক্ষে দুই লিটার পানি পান করার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও সুপ, স্ট্যু ও অন্যান্য পানীয় যেমন- নারিকেলের পানি, ঘোল, গ্রিন টি ইত্যদি পান করুন। যতটা সম্ভব মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। এতে বাড়তি ক্যালরি যোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
উষ্ণ থাকুন: ঠাণ্ডা আবহাওয়াতে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে বেশি রক্ত সঞ্চারিত হয় এবং রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করে। তাই ঠাণ্ডায় ঘর থেকে খুব একটা বাইরে না যাওয়া ও নিজেকে উষ্ণ রাখা জরুরি। বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যই শীতের উপযুক্ত পোশাক পরা প্রয়োজন।