আওয়ার ইসলাম: ফাইজারের ভ্যাকসিনই হচ্ছে এখন পর্যন্ত বাজারে আসা একমাত্র ভ্যাকসিন যেখানে ভাইরাসের আসল জিনগত তথ্য নিয়ে মেসেঞ্জার আরএনএ অথবা এমআরএনএ আকারে শরীরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। এই ধরণের মলিকুল মূলত শরীরে প্রবেশ করে ভাইরাসের জিনগত তথ্যের একাধিক কপি সম্পর্কে শরীরকে পরিচয় করে তোলে।
ভ্যাকসিনটি হচ্ছে ক্যাসেটের মতো যাতে গানের জায়গায় তথ্য দিয়ে দেয়া হয়েছে। এই তথ্যগুলোকে অবিকৃত রাখার জন্য এই ভ্যাকসিনকে এতো কম তাপমাত্রায় (-৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) সংরক্ষণ করা হয়। ভ্যাকসিনের ডোজ দেয়া হয় হাতের পেশিতে। এতে যেই আরএনএ সিকুয়েন্স যুক্ত করা হয় তা ভাইরাসের শরীর থেকেই নেয়া। এটি প্রবেশে শরীরের কোনো ক্ষতি হয়না। তবে শরীর আগে থেকেই করোনাভাইরাসের আক্রমণ থামাতে প্রস্তুত হয়ে ওঠে। তবে ডোজের মধ্যে আরো কিছু বিষয় আছে যা এই ভ্যাকসিনকে পুরোপুরি কার্যকর করে তুলেছে। সেটি অবশ্য ফাইজার প্রকাশ্যে আনবে না।
ভ্যাকসিনটিতে লিপিড ন্যানো পার্টিকেলস ব্যবহার করা হয়েছে। এটি আরএনএকে আবৃত করে। এটি এমআরএনএকে কোষের মধ্যে প্রবেশে সাহায্য করে। এই পার্টিকেলসগুলোর আকৃতি ১০০ ন্যানোমিটারের মতো। করোনাভাইরাসের আকৃতিও একই। ফাইজার জানিয়েছে তারা ৪ ধরণের আলাদা লিপিড ব্যবহার করেছে ভ্যাকসিন তৈরিতে।
ভ্যাকসিনটিতে ব্যবহার করা হয়েচে ৪ ধরণের লবণ। এরমধ্যে এক প্রকৃতির লবণ হচ্ছে সাধারণ খাওয়ার লবণ। এটি একসঙ্গে ফসফেটের স্যালাইন তৈরি করে। এরফলে ভ্যাকসিনের পিএইচ মান ও অম্লতা শরীরের গ্রহণযোগ্য মাত্রায় রাখে। এছাড়া যুক্ত করা হয় চিনিও। এটি ন্যানো পার্টিকেলসগুলোকে একটির সঙ্গে আরেকটির যুক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে।
-কেএল