আওয়ার ইসলাম: শীতকালকে বলা হয় আরামের কাল। তবে কোনো মানুষের জন্য এ ঋতু খুবই কষ্টের। কিন্তু তারা যদি খাদ্য কিছু খাবার যুক্ত করেন তাহলে এ শীতকাল তাদের জন্য হয়ে উঠবে আরামের কাল। আসুন জেনে নেয়া যাক সে খাদ্য তালিকা-
অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডোয় থাকা পটাসিয়াম, ভিটামিন বি ও ই এবং প্রোটিন, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। পাশাপাশি ত্বককে রক্ষা করে ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। স্মুদি, সালাদ ও স্যুপেও অ্যাভোকাডো দিয়ে খেতে পারেন। খাওয়ার পাশাপাশি অ্যাভোকাডোর ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগালে উপকার পাওয়া যাবে।
দই: সংবেদনশীল ত্বক হলে দই ব্যবহার করতে পারেন। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক মরা কোষ উজ্জীবিত করে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুতে থাকা ভিটামিন ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। শুধু ত্বক নয়, শরীরের জন্যও ভীষণ উপকারী মিষ্টি আলু। শীতে নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা কমে।
নারকেল: ত্বককে উজ্জ্বল করতে নারকেলের জুড়ি নেই। নারকেলে থাকা ফ্যাট ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল ত্বককে ব্রণের হাত থেকে রক্ষা করে। নারকেলের তৈরি বাটারও ত্বকের জন্য সমান উপকারী।
জলপাই: জলপাইতে থাকা ফ্যাটও ত্বকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে, ত্বকের বয়স বাড়তে দেয় না। এতে থাকা ভিটামিন-ই ত্বককে শুষ্ক হতে দেয় না। এছাড়া জলপাইয়ে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ফাইবার এবং প্রোটিন ত্বকের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। এ সময় ত্বকে অলিভ অয়েল লাগালেও উপকার পাবেন।
গাজর: গাজরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
শাকসবজি: যেকোনও শাক সবসময়ই ত্বকের জন্য উপকারী। শাকে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের কোমলতা ধরে রাখে। পালং শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। হলুদ সবজি যেমন- ভিটামিন এ সমৃদ্ধ কুমড়া ত্বকের পুষ্টি যোগায়।
বাদাম ও বীজ: বাদাম ও বিভিন্ন বীজ ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে। এতে থাকা খনিজ ত্বকের কোষগুলো উজ্জীবিত করে।
কমলা : কমলা শীতের অন্যতম প্রধান ফল। এর গুণাগুণও অনেক। কমলা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন সি থাকায় কমলা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ওটমিল: শুষ্কতা, ব়্যাশ, ব্রণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে ওটমিল। এতে থাকা ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি অক্সিডেন্টস ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
-কেএল