আওয়ার ইসলাম: ওজন কমাতে অনেকেই নানা রকম ডায়েট করেন, কসরত করেন। কিন্তু কারো ক্ষেত্রে এসবে কোনো লাভই হয় না। কিন্তু কেন এমন হয়? আসুন, জেনে নেওয়া যাক ত্রুটিগুলো কোথায়-
এক- মাত্রাতিরিক্ত ক্যালরি কমালে বা খাদ্য উপাদান কমিয়ে দিলে ক্ষুধামান্দ্য, ক্লান্তি, দুর্বলতা, অমনোযোগ, বদমেজাজ ইত্যাদি সমস্যা হয়। আবার কী খাবেন, আর কী খাবেন না, তা নিয়ে অতিরিক্ত ভেবে মানসিক চাপ বাড়ে। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের অভাবে অপুষ্টিও হয়। শর্করা বেশি কমিয়ে দিলে মস্তিষ্কে গ্লুকোজ কমে, মানসিক অবসন্নতা দেখা দেয়।
দুই- ক্রাশ ডায়েটে প্রথমে ওজন খানিকটা কমলেও সাধারণ ডায়েটে ফিরে যাওয়ার পর দ্রুত ওজন বাড়তে থাকে। এই ডায়েটে আসলে দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাওয়া যায় না। ক্রাশ ডায়েট দীর্ঘদিন করাও যায় না।
তিন- অনেক সময় আমরা ডায়েট করার নামে দুর্লভ, ব্যয়বহুল উপাদান বা সাপ্লিমেন্টের দিকে ঝুঁকি। ব্যয়বহুল হওয়ায় এ ধরনের ডায়েট অনিয়মিত হয়ে পড়া স্বাভাবিক। ফলে সুফল পাওয়া যায় না।
চার- ক্ষুধার্ত থাকার কারণে ঘুম কম হয়। নিদ্রাহীনতা হরমোনের তারতম্য ঘটায়। ক্ষুধা ও তৃপ্তি নিয়ন্ত্রক হরমোন গ্রেলিন ও লেপটিনের ওপর ঘুম প্রভাব ফেলে। ফলে ক্ষুধা আরও বেড়ে যায়। বিশেষ করে রাতে বারবার খাওয়া পড়ে। ফলে ওজন বাড়ে।
পাঁচ- ডায়েট করলেও প্রতিটি খাদ্য উপাদান গ্রহণ করতে হবে সঠিক মাত্রায়। অনেকেই প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান দু–একটি পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেন। এতে লাভ তো হয়ই না, বেশি দিন অনুসরণও করা যায় না।
ছয়- অতিরিক্ত ডায়েটের কারণে বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এতে ক্যালরি খরচ তুলনামূলক কম হয়। ফলে সুফল কম পাওয়া যায়।
-কেএল