আওয়ার ইসলাম: নারীর সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে জার্মানির নাগরিকত্ব পাননি এক মুসলিম চিকিৎসক। লেবাননের ৩৯ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক দেশটিতে মেডিকেল পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে একটি ক্লিনিকে কর্মরত আছেন।
তবে পরীক্ষায় পাস করলেও এখন পর্যন্ত জার্মানির নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারেননি তিনি। আজ সোমবার ডেইলি মেইলসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননের ওই চিকিৎসক ২০০২ সাল থেকে জার্মানিতে বসবাস করছেন। ২০১২ সালে এসে তিনি জার্মানির নাগরিকত্ব লাভের আবেদন করেন। কিন্তু কিছু আচরণের কারণে এখনো নাগরিকত্ব পাননি ওই মুসলিম চিকিৎসক।
জার্মানির আদালত ওই চিকিৎসকের নাগরিকত্ব না দেওয়ার ব্যাপারে রুল জারি করেছে। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, ওই চিকিৎসক ধর্মীয় বিধি-নিষেধ মেনে নারীদের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
বিচারক বলেছেন, ‘হাত মেলানোর একটি অর্থ রয়েছে, এটা কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একে অপরের সঙ্গে হাত মেলানো সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং আইনি জীবনে গভীরভাবে তাৎপর্যপূর্ণ; যা আমাদের একসঙ্গে থাকার পথ তৈরি করে দেয়।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অন্য সব দিক থেকেই জার্মানিতে থাকার শর্ত পূরণ করেছেন ওই চিকিৎসক। এমনকি জার্মানির সকল আইন-কানুনও মানতে চান তিনি। তবে কাগজপত্র সঠিকভাবে পূরণ করার প্রক্রিয়া শেষে নারী কর্মকর্তার সঙ্গে ধর্মীয় কারণে হাত মেলাতে রাজি হননি তিনি। শুধু সে কারণেই ২০১৫ সালে তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
পরে এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে লেবাননের ওই চিকিৎসক আদালতে যান। কিন্তু কেবল লৈঙ্গিক কারণে কারও সঙ্গে হাত মেলাতে না চাওয়াকে জার্মানির নীতি বিরুদ্ধ বলে জানিয়েছেন বিচারক।
-এটি