মোস্তফা ওয়াদুদ: গতবছর অনুষ্ঠিত হয়নি বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক) এর ৪৪তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা। করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি বেফাকের। চলতি বছর মাদরাসাগুলো খোলার পর কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নেয়ার পরিস্থিতিও তৈরি হয়নি।
তাই গত ২৭ আগস্ট ২০২০ তারিখে বেফাকবোর্ড কর্মকর্তারা বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেসময় বেফাকের মহাপরিচালক অধ্যক্ষ জুবায়ের আহমদ চৌধূরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য জমা নেয়া ৫০% পরীক্ষা ফি ফেরত দেয়া হবে।
সিদ্ধান্ত নেয়া এ বিষয়টির বাস্তবায়ন কতদূর? জানতে চেয়েছিলাম বেফাকের মহাপরিচালক অধ্যক্ষ জুবায়ের আহমদ চৌধূরীর কাছে। তিনি আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শিক্ষার্থীরা এখনো তাদের পরীক্ষা ফি ফেরত পায়নি। তবে খুব শিগগিরই তারা পরীক্ষার ফি বাবদ জমা দেয়া ৫০% টাকা ফেরত পাবেন।
টাকা প্রদানে বিলম্ব হওয়ার কারণ হিসেবে জুবায়ের চৌধূরী জানান, আমাদের ব্যাংক লেনদেন বন্ধ আছে। বেফাকের সাবেক সভাপতি সদ্যপ্রয়াত আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর ইন্তেকাল ও সদ্য বিদায়ী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসের পদত্যাগের কারণে ব্যাংক লেনদেন বন্ধ। তাই ফি ফেরত প্রদানে বিলম্ব হচ্ছে।
তাছাড়া বিগত দিনগুলোতে আমরা অনেকগুলো গুরুত্তপূর্ণ বিষয় কাটিয়ে উঠেছি। বিশেষত বেফাকের সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফি রহ. এর ইন্তেকালের পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সহ-সভাপতি ও মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। তবে আনুমানিক আগামী দুই সপ্তাহ পরে ছাত্রদের পরীক্ষার ফি ফেরত প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করছি।
ফেরত প্রদানের প্রক্রিয়া হবে কেমন? এমন প্রশ্ন করলে মহাপরিচালক অধ্যক্ষ জুবায়ের চৌধূরী জানান, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আগামী ৪৪তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার নিবন্ধন ফি জমা দিতে এলে গত বছরের পরীক্ষার অর্ধেক ফি দিয়ে দেয়া হবে। এতে সব মাদরাসায় পরীক্ষার ফির টাকা পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ। এরপর মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের হাতে তাদের পরীক্ষার ফির টাকা তুলে দিবেন।
এমডব্লিউ/