বেলায়েত হুসাইন: কৃষকের মুখে ফসলের হাসি। আর ফসলটি যদি হয় খেজুর, তাহলে 'কৃষকের মুখে 'খেজুর' এর হাসি' বলা যেতেই পারে। কারণ, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এখন চলছে গাছ থেকে খেজুর সংগ্রহের ভর মৌসুম। প্রতি বছরই এই সময় মোটা অংকের অর্থকরী এ ফসল স্থানীয় কৃষকদের মুখে হাসি ফোটায়।
ফিলিস্তিনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর দিয়ার আল বালাহ। ঐতিহাসিক ভাবেই খেজুর উৎপাদনে শহরটির খুব সুনাম। এজন্য এর নামও রাখা হয়েছে দিয়ার আল বালাহ। আরবিতে 'বালাহ' অর্থ খেজুর। গত ৩০ সেপ্টেম্বর দিয়ার আল বালাহে আনুষ্ঠানিকভাবে গাছ থেকে খেজুর সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক প্রভাবশালী কৃষকের উপস্থিতিতে ফিলিস্তিনি কৃষিমন্ত্রী ইবরাহিম আল কুদরত বৃহস্পতিবার খেজুর সংগ্রহের উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে অঞ্চলটিতে খেজুর সংগ্রহের মৌসুম ঘরে ঘরে আলাদা উৎসবের আমেজ নিয়ে হাজির হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রীর আশা, এ বছর অন্তত নয় হাজার টন খেজুর উৎপাদন হবে। যা দেশি বাজারের পাশাপাশি একাধিক আন্তর্জাতিক বাজারেও রপ্তানি করা হয়। এরমধ্যে আজওয়া খেজুরের ফলন হবে দেড় হাজার টনের বেশি। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিগত বছরের তুলনায় খেজুর উৎপাদন কম হয়েছে।
ইবরাহিম আল কুদরত জানান, গত বছর প্রায় ১২ হাজার টন খেজুর উৎপন্ন হয়েছিল। কিন্তু এ বছর লকডাউনের কারণে কৃষকরা সময়মতো বাগানে এসে গাছের যথাযথ পরিচর্যা করতে পারেনি। তা ছাড়া বৈরি আবহাওয়া, কৃষিপণ্যের সরবরাহ কম থাকা এবং গাজার অর্থনৈতিক অবনতিও খেজুর গাছের পরিচর্যায় প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন, দেশে আরো বেশি পরিমাণে আজওয়া খেজুর উৎপাদনে আমরা কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছি। এজন্য বিদেশ থেকে এজাতীয় খেজুর আমদানিতে গত বছরই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। স্থানীয় অনেক কৃষক খেজুর চাষের পাশাপাশি খেজুরের গুড় ও মধু উৎপাদন করেন, তারা যাতে এগুলো চাষে আরো বেশি আগ্রহী হয়- সেজন্য উৎসাহমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আশাবাদ ব্যক্ত করে ইবরাহিম আল কুদরত আরো জানান, আজওয়া খেজুর উৎপাদনে আমরা স্বনির্ভরতা অর্জন করতে চাই। যেন প্রতি বছর বিদেশ থেকে কয়েক হাজার টন আজওয়া আমদানি করতে না হয়। আমরা সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সামনে পথ চলছি। তথ্যসূত্র: আনাদুলু এজেন্সি
-এএ