আওয়ার ইসলাম: করোনা মহামারির মধ্যেই এসেছে বর্ষা মৌসুম। ফলে নতুন করে ডেঙ্গু সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে কিছু রোগীর চিকিৎসা নেওয়ার কথা জানা গেছে। সবচেয়ে বড় কথা, করোনা মহামারির মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে যাবে।
এ জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাশাপাশি ঢাকা সিটি করপোরেশন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আগেভাগেই সতর্ক করা হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দেশের ৬৪ জেলার সিভিল সার্জন এবং অধিকাংশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এই বৈঠক থেকে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেগুলো হলো-
১. যেহেতু করোনা ও ডেঙ্গু রোগী উভয়েরই জ্বর থাকতে পারে, সেজন্য কোভিড পরীক্ষার পাশাপাশি সন্দেহভাজন রোগীকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
২. জেলা হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু কর্নার গত বছর থেকেই চালু আছে, তাই এ বিষয়ে একটি টিম প্রস্তুত রাখার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।
৩. জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি দেশের ৬৪ জেলায় ডেঙ্গু কিট বিতরণ করেছে, তারপরও যদি কিটের প্রয়োজন থাকে তাহলে প্রোগ্রাম থেকে সাপ্লাই দেয়া যেতে পারে অথবা নিজস্ব অর্থায়নে কেনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
৪. ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য শিগগিরই একটি ভিডিও পাঠানো হবে, যা নিজ উদ্যোগে স্থানীয় ডিস চ্যানেল ও হাসপাতালসহ সম্ভাব্য জায়গাসমূহে প্রচারের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
৫. জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং পৌরসভাকে সাথে নিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ডেঙ্গু মশা নিধনে কাজ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
৬. প্রত্যেকটি জেলা/উপজেলায় কোভিড হট লাইন আছে, সেই একই নম্বরকে ডেঙ্গ বিষয়ে মশা নিধনে কাজ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
৭. ডেঙ্গু রোগীদের যাবতীয় তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এর পর শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত করোনা বিষয়ক বুলেটিনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। ডেঙ্গু মোকাবেলায় মশার বংশবিস্তার রোধে সচেতন হতে সকলের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়।
-এটি