মাহদী হাসানাত খান।।
দুর্যোগপূর্ণ প্রতিকূল এই সময়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নেক কাজ হচ্ছে দান-সদকা করা। যা অনেক বড় নেক আমল। কর্মহীন এই স্থবির সময়ে নিম্নবিত্তসহ বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা হয়ে পড়েছেন কোনঠাসা। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তাঁদের। অভাবের বোঝা মাথায় নিয়ে মানবেতর দিনাতিপাত করছেন অনেকে।
আত্মসম্মানার্থে যাঁদের বেশিরভাগ জনই কারও কাছে হাত পাততে পারেন না। তারাই দান-সদকা পাওয়ার প্রকত হকদার। খুঁজে খুঁজে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো মানবিক দায়িত্ব। এতে রয়েছে অনেক সওয়াব।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘অভাবগ্রস্ত তো কেবল সে নয়—যে একমুঠো খাবারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়; বরং প্রকৃত অভাবগ্রস্ত তো ওই ব্যক্তি যার জীবিকা নির্বাহের সাধ্য নেই, আবার তাকে দেখে বুঝাও যায় না যে, মানুষ তাকে দান করবে এবং সে মানুষের কাছে চাইতেও যায় না। (বুখারি: ১৪৬৯)।
দান-সদকা করার অন্যতম বিশেষ ফায়দা হলো, এতে বিপদাপদ দূর হয়। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘নিশ্চয় দান-সদকা মহান আল্লাহর গজব-ক্রোধকে নির্বাপিত করে এবং খারাপ মৃত্যু থেকে রক্ষা করে। জামে তিরমিজি: ৬৬৪; শুআবুল ইমান, বায়হাকি: ৩০৮০; ইবনে হিব্বান: ৩৩০৯’ দান-সদকা করলে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআনের বাণী, ‘যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-সদকা করো, তবে তা কতই না উত্তম।
আর যদি গোপনে ফকির-মিসকিনকে দান করে দাও, তবে আরও বেশি উত্তম। আর তিনি তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। সুরা বাকারা : ২৭১’ আর এই দান-সদকা করতে হবে যথাসাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা আপনার নিকট জিজ্ঞাসা করে, তারা কী ব্যয় করবে? (আল্লাহ বলেন,) জানিয়ে দিন, যা তোমাদের প্রয়োজনাতিরিক্ত। সুরা বাকারা: ২১৯’
মহান আল্লাহ আমাদের উদারচিত্তে অসহায়দের সহায় হওয়ার তাওফিক দান করুন, আমিন।
ওআই/আবদুল্লাহ তামিম