আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির থেকে খুব অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে গেছেন। ফিরে গেলেও তারা নিজের গ্রামে পৌঁছাতে পারেননি। এমনকি বসবাসের জন্য তাদের বাসস্থানও নেই। রাখাইন রাজ্যে টিকে থাকার জন্য তাদের প্রবল লড়াই করতে হচ্ছে। খবর রেডিও ফ্রি এশিয়া।
সূত্রমতে জানা যায়, বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্ত স্বাক্ষর করলেও শরণার্থী শিবির থেকে খুব সামান্য পরিমাণ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে গেছেন। অধিকাংশই ফিরে যেতে অনাগ্রহের কথা জানিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে তারা মিয়ানমারে বৈষম্য এবং জাতিগোষ্ঠীটির ওপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করছেন।
রেডিও ফ্রি এশিয়াকে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া এক রোহিঙ্গা বলেন, ২০১৯ সালের সেপ্টম্বরে তিনি বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবির থেকে মিয়ানমারে প্রবেশ করেন। প্রায় আড়াই বছর পর তিনি তার মাতৃভূমিতে পা রাখেন।
ওই রোহিঙ্গা বলেন, ফিরে এসে দেখেন তার গ্রাম জনশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। তার পক্ষে এখন শহরে বাড়ি ভাড়া নেয়া সম্ভব না। তার মতো যারা এরকম অসহায় অবস্থায় আছেন তাদের তিনি একতাবদ্ধ করার চেষ্টায় আছেন। যাতে করে তিনি গ্রামটি পুনর্গঠন করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, যদি তিনি ১০টি পরিবারকে রাজি করাতে পারেন তাহলে তার নিজ গ্রাম অংডং-এ আবারও বসতি স্থাপন করবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর পূর্বপরিকল্পিত সহিংসতা চালায় বার্মিজ আর্মি। সংখ্যালঘু মুসলিম এই জনগোষ্ঠীর ওপর তারা গণহত্যা ও ধর্ষণসহ অমানবিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাংলাদেশে প্রায় নয় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে। এত বৃহৎ সংখ্যক জনসংখ্যার বিপরীতে মাত্র ৬২৪ জন রোহিঙ্গা মিয়ানমার ফিরে গেছে বলে উল্লেখ করে রেডিও ফ্রি এশিয়া।
-এটি