আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গা সুরক্ষায় মিয়ানমারকে চাপে রেখেই আদেশ দিয়েছে আইসিজে। আর এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও অগ্রগতির প্রতিবেদন দেয়ার বাধ্যবাধ্যকতায় সে চাপ বেড়েছে আরো। তাই এ আদেশ এড়িয়ে চলা নেপিদোর জন্য প্রায় অসম্ভব বলে মনে করেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। আর ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার মনে করছেন, আইসিজের আদেশে মিয়ানমার সর্ম্পকে অনেক দেশেরই মনোভাবে পরিবর্তন আসবে।
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা বাহিনীর নৃশংস অভিযান শুরু হয় ২০১৭ সালে। তখন হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। এখনও সেখানে মানবেতর জীবন-যাপন করেছেন প্রায় ছয় লাখ।
আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত কড়া আদেশ না দিলে তারাও গণহত্যার শিকার হত বলে মনে করেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। তিনি আরো জানান, রোহিঙ্গা সুরক্ষায় নেপেদোকে চাপে রাখার ব্যবস্থাও রয়েছে ওই আদেশে।
আইসিজের আদেশ নিরাপত্তা পরিষদে যাওয়ার পর আরও চাপ বাড়বে মিয়ানমারের ওপর। এতে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সর্ম্পক নিয়ে আরেক দফা ভাবতে হবে চীন ও রাশিয়াকে।
রোহিঙ্গা সুরক্ষায় আইসিজের আদেশ মানতে এরই মধ্যে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কানাডা। ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনার বেনোয়েট প্রিফনটেইন বলছেন, নেপিদোর এ আদেশ উপেক্ষা করা সমীচীন চিন হবে না।
কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়েট প্রিফনটেইন বলেন, আইসিজে যে আদেশ দিয়েছে, তাতে কানাডা সন্তুষ্ট। তবে এটি শুরু মাত্র। মূল লড়াইয়ে যেতে আরও অনেক পথ এগুতে হবে। রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় পিছ-পা হবে না কানাডা। আমি মনে করি, আইসিজের এ আদেশে মিয়ানমার প্রশ্নে অনেক দেশেই তাদের আগের চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন আনবে।
যুদ্ধাপরাধের দায় স্বীকার করে মিয়ানমার আরও বিপাকে পড়েছে বলেও মনে করেন সাবেক কূটনৈতিকরা। এতে আইসিজেসহ জাতিসংঘের অন্য আদালতেও কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে নেপিদোকে।
-এটি