শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

ধর্মীয় অনুভূ‌তি‌তে আঘাত দিয়ে বই, লেখকসহ তিন আসামিই খালাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: অমর একুশে গ্রন্থ‌মেলায় প্রকাশিত ‘ইসলাম বিতর্ক’ বইয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অ‌ভি‌যোগ প্রমা‌ণিত না হওয়ায় লেখক ও প্রকাশকসহ তিনজন‌কে বেকসুর খালাস দি‌য়ে‌ছেন আদালত।

তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়া‌রি) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামছ জগলুল হোসেন এ রায় দেন।

খালাস পাওয়া ব্য‌ক্তিরা হলেন ব-দ্বীপ প্রকাশনার সত্ত্বাধিকারী ও বই‌য়ের সম্পাদক শামসুজ্জোহা মানিক (৭৭), ছাপাখানা শব্দকলি প্রিন্টার্সের মালিক তসলিমউদ্দিন কাজল (৬০) এবং বইটির লেখক শামসুল আলম চঞ্চল ( ৫৮)।

‘ইসলাম বিতর্ক’ বইটি ২০১৬ সালে একুশে বইমেলা চলাকালে ব-দ্বীপ থেকে প্রকাশিত হয়। প‌রে এ বই নি‌য়ে স্যোসাল মি‌ডিয়ায় বিতর্ক তৈ‌রি হয়। বিতর্কের ম‌ধ্যেই ওই বছ‌রেরে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মেলা থেকে বইটির সব কপি জব্দ করে পুলিশ।

পাশাপশি ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মতো উপাদান’ আছে কি না- তা অনুসন্ধানে গিয়ে কাঁটাবনে ব-দ্বীপ প্রকাশনের দপ্তর থেকে আরও পাঁচটি বইয়ের সব কপি জব্দ করা হয়। বইমেলায় ব-দ্বীপের স্টল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বইগু‌লো হ‌লো- ‘আর্যজন ও সিন্ধু সভ্যতা’, ‘জিহাদ: জবরদস্তিমূলক ধর্মান্তরকরণ, সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বের উত্তরাধিকার’, ‘ইসলামের ভূমিকা ও সমাজ উন্নয়নের সমস্যা’, ‘ইসলামে নারীর অবস্থা’ এবং ‘নারী ও ধর্ম’।

এসব বই‌য়ের ক‌পি ‘বঙ্গরাষ্ট্র ডট ওআরজি’ নামের একটি ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। সে কারণে শাহবাগ থানায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনে এ মামলা করেন উপ পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা। মামলা হওয়ার পর শামসুজ্জোহা মানিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। কয়েক মাস পর তারা জামিনে মুক্তি পান।

২০১৬ সা‌লের ২১ আগস্ট তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন শাহবাগ থানার তখনকার পুলিশ পরিদর্শক জাফর আলী বিশ্বাস।

এরপর মামলার বিচার চলাকা‌লে রাষ্ট্রপক্ষে ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষ্য দেন। ১৬ বার সময় দেওয়া হ‌লেও মামলার তদন্ত কর্মেকর্তা আদাল‌তে সাক্ষ্য দি‌তে যান‌নি।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ