আওয়ার ইসলাম: ডা. শফিকুর রহমান জামায়াতে ইসলামীর আমীর নির্বাচিত হওয়ার পর সেক্রেটারি জেনারেল নিয়োগ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা, নির্বাহী পরিষদ ও কর্মপরিষদের কমিটি গঠন সম্পন্ন করেছেন। কমিটিতে অধিকাংশই নতুন মুখ ও ৭১-এর পরবর্তী প্রজন্মের নেতা।
দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক এমপি ও আগের কমিটির নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান যখন ১৯৮৬ সালে কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন তখন শফিকুর রহমান সিলেট জেলা আমীর হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়াও স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে মুজিবুরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
২০০৯ সালের পর দলের দুর্দিনে মূল কাঠামোকে ধরে রাখা ও নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল। কেন্দ্রীয় আমীর নির্বাচিত না হওয়ায় তিনি যেমন রুষ্ট তেমন রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের নেতা ও কর্মীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়াও নায়েবে আমীর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক তাসনীম আলম, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সাবেক এমপি মাওলানা শামসুল ইসলাম, সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুস সোবহান ও সাবেক এমপি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মাওলানা এটিএম মাসুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল ও মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জেলে অবস্থানরত দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন- শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আ.ন.ম আব্দুর জাহের, নুরুল ইসলাম বুলবুল, মো. সেলিম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সানাউল্লাহ, রফিক উদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রব, ইজ্জত উল্লাহ ও শিবিরের সাবেক সভাপতি দীর্ঘদিন ধরে কোণঠাসা থাকা সাইফুল আলম খান মিলন। মিলন ইবনে সিনার সাবেক পরিচালক ছিলেন।
আরএম/