আওয়ার ইসলাম: লেখা ও লেখকের কথা নিয়ে প্রকাশিত লেখকপত্রের চতুর্থ সংখ্যা এখন বাজারে। তিন মাস পরপর প্রকাশিত সাময়িকীটির চলতি সংখ্যায় লেখকদের ওপর নানা আয়োজন রয়েছে।
লেখকপত্রের প্রত্যেক সংখ্যায় একজন আলেম লেখকের দীর্ঘ আত্মজৈবনিক সাক্ষাৎকার থাকে। এবারের সংখ্যায় জীবনের গল্প বলেছেন প্রবীণ আলেম লেখক মাওলানা ইসহাক ওবায়দী। তিনি হাফেজ্জী হুজুরের প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন বাংলাদেশ বেতারে। বাজারে রয়েছে তার বেশ কিছু বই।
‘যদি লেখক হতে চান’ শিরোনামে আসাদ বিন হাফিজের লেখায় লেখকদের জন্য রয়েছে মূল্যবান দিকনির্দেশনা। লেখালেখি ও পড়াশোনার নানা দিক উঠে এসেছে মাওলানা ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভীর সাক্ষাৎকারে। লেখক হয়ে ওঠার গল্প বলেছেন জাগ্রত কবি মুহিব খান এবং জনপ্রিয় লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রসঙ্গ উঠে এসেছে মুফতি এনায়েতুল্লাহ ও গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহর সাক্ষাৎকারে।
এক সময় ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল এবং পাঠক-মনে দাগ কেটেছিল এমন পাঁচটি সাপ্তাহিক পত্রিকার হারিয়ে যাওয়ার গল্প বলেছেন মুনীরুল ইসলাম। প্রথম বই প্রকাশ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন সুমন রায়হান। লেখক পাঠক ও প্রকাশক সমীপে একটি আকুতিমূলক লেখা লিখেছেন জাফর বিপি।
অমর একুশে বইমেলা নিয়ে রয়েছে হাসান আল মাহমুদের একটি প্রতিবেদন। মরহুম ছড়াকার রকীবুল ইসলাম স্মরণে লিখেছেন রেজা হাসান। লেখকদের সঙ্গে ৫৪ ঘণ্টা ভ্রমণ নিয়ে লিখেছেন মিযানুর রহমান জামীল। লেখকদের নিয়ে রম্য গল্প লিখেছেন শাহাদাত ফাহিম। তারুণ্যপত্রে লিখেছেন উবায়দুল হক খান ও হাবীবুল্লাহ সিরাজ। এছাড়া ছড়া-কবিতা, লেখক সংবাদ, সংগঠন সংবাদ, টিপসসহ নিয়মিত বিষয়গুলো এই সংখ্যাতেও রয়েছে।
লেখকপত্র সংগ্রহ করা যাবে বায়তুল মোকাররমের হাবিবিয়া বুক ডিপো, দারুত তাযকিয়া, বাংলাবাজারের দারুল উলূম লাইব্রেরী থেকে। এছাড়া এজেন্ট হওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০১৯৭৬৬৬৮৯০৮ নাম্বারে।
প্রসঙ্গত, লেখকপত্র প্রথম প্রকাশিত হয় গত বছরের এপ্রিলে। প্রথম সংখ্যা থেকেই পত্রিকাটি লেখক মহলে বেশ সাড়া ফেলে। পত্রিকাটির সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর। আর নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন মুনীরুল ইসলাম।
আরএম/