আওয়ার ইসলাম: লক্ষ্মীপুরে গন্ধব্যপুর ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে না পেরে মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহা. ওমর ফারুককে জনসম্মুখে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় দেয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিমের বিরুদ্ধে।
আজ শনিবার দুপুরে মান্দারী বাজারের একটি দোকানের ভেতর তিনি অধ্যক্ষকে চড়-থাপ্পড় দেন বলে জানা গিয়েছে।
তবে মিজানুর রহিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি অধ্যক্ষকে মারধর করিনি। তাকে ধমক দিয়েছি মাত্র।
জানা যায়, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে তিনজনের নাম প্রস্তাব করা হয়। তারমধ্যে মিজানুর রহিমের নামও ছিলো। কিন্তু গত আগস্ট মাসে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রহমত উল্যাহ বিপ্লবকে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনোনীত করা হয়। পরে মিজানুর রহিমকে সভাপতি করতে লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের এমপি শাহজাহান কামাল একটি ডিও লেটার দেন।
লেটার পেয়ে মিজানুর রহিমকে সভাপতি করে একটি তালিকা ২২ ডিসেম্বর মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে জমা দেয়া হয়। এখনও কমিটিটি অনুমোদন হয়ে আসেনি। এরমধ্যেই সভাপতি হতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার দুপুরে অধ্যক্ষ ওমর ফারুককে মান্দারী বাজারে মিজানুর রহিম এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারেন।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদরাসার অধ্যক্ষ ওমর ফারুক বলেন, এমপির ডিও লেটার পেয়ে গত ২২ ডিসেম্বর মিজানুর রহিমকে সভাপতি করে একটি তালিকা মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও শিক্ষাবোর্ড থেকে সেটি অনুমোদন হয়ে আসেনি। এর আগেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার গায়ে হাত তুলেছেন। আমি ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহিম বলেন, আমাকে না জানিয়ে সভাপতি লিস্টে আমার নাম উল্লেখ করে এবং পরে সভাপতি নির্বাচিত না করে আমাকে স্রেফ অপমান করা হয়েছে। এজন্য আমি অধ্যক্ষকে ধমক দিয়েছি। কিন্তু তাকে মারধরের বিষয়টি সত্য নয়।
-ওএএফ