আওয়ার ইসলাম: জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ দেবে দেশটির বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর একটি জোট।
তুর্কি গণমাধ্যম আনাদলু জানায়, মিয়ানমারের তিনটি স্বাধীনতাকামী সংগঠনের একটি জোট বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে। ওই তিন সংগঠন হচ্ছে টাঙ্গ ন্যাশনাল আর্মি, আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি।
বিবৃতিতে জানানো হয়, মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর ওপর যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত হওয়ার তথ্য প্রমাণ আন্তর্জাতিক আদালতে হাজির করা হবে। বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের বাঙালি মুসলিম হিসেবে উল্লেখ করে তারা।
যার প্রতিবাদ জানিয়েছে মুসলিম জাতিগোষ্ঠীটির সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)। সংগঠনটির প্রধান মোহাম্মদ আইয়ুব খান জানান, তারা রোহিঙ্গা মুসলিম, বাঙালি মুসলিম নন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তাচৌকিতে হামলার ঘটনায় পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাত লাখেরও বেশি মানুষ।
রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও জাতিগত নিধনের অভিযোগ এনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ১১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া। বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে এই মামলা দায়ের করে আফ্রিকার দেশটি।
হেগে আগামী ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি হবে। এতে মিয়ানমারের উপদেষ্টা অং সান সু চি'র নেতৃত্বাধীন একটি দল দেশটির পক্ষে লড়বে।
-এএ