আওয়ার ইসলাম: ঢাকার সদরঘাট থেকে ক্ষণে ক্ষণেই ছেড়ে আসছে জিকিরে জিকরে মুখরিত লঞ্চ। সদরঘাটের টার্মিনাল থেকে শুরু করে লঞ্চের অলি-গলি, ছাদ, রাস্তা-ঘাট সব জায়গায় চলছে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর’ ধ্বনি।
বরিশালের ঐতিহাসিক কীর্তনখোলার ময়দানে সমবেত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ জাকেরিন-শাকেরিন ও আল্লাহ ওয়ালাদের বিশাল জামাত। প্রায় ৩৫ লক্ষ মুসল্লির পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে কীর্তনখোলার এই ময়দান।
ইতোমধ্যেই কানায় কানায় ভরে উঠেছে কীর্তনখোলার পাঁচটি ময়দান । ময়দানের সামিয়ানার ভেতরে-বাইরে ছোটছোট জামাতে চলছে ‘লা ইলাহা ইল্লাহর’ জিকির।
আগামীকাল (২৬ তারিখ) বাদ যোহর চরমোনাই পীর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রধান মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এ মাহফিল। চলবে টানা তিন দিন পর্যন্ত।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ মাঠের সামগ্রিক দিক দেখাশোনা করছেন। এছাড়াও, বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব আল্লামা নুরুল হুদা ফয়জী, চরমোনাই আলিয়া মাদরাসা প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসদ্দেক বিল্লাহ অল মাদানী মাহফিলের সার্বিকদিক দেখাশোনা করছেন বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই মাহফিলের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে৷ মুসল্লীদের সব ধরনের সেবা যাতে নিশ্চিত হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হয়েছে৷ মাহফিল প্যান্ডেল সংলগ্ন অস্থায়ী হাসপাতাল আগের তুলনায় আরো উন্নত করা হয়েছে৷
তিন দিনের মাহফিলের প্রতিদিন বাদ ফজর ও বাদ মাগরিব পীর সাহেব রেজাউল করীম ও ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বয়ান করবেন।
ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশের আলেমদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে কীর্তনখোলা ময়দান। এ তিনদিন বিভিন্ন সময়ে দেশের প্রখ্যাত আলেমগণ ও বিদেশি মেহমানগণ গুরুত্বপূর্ণ বয়ান রাখবেন।
আরএম/