আওয়ার ইসলাম: টেকনোলজির এই যুগেও চারপাশেই নকলের ছড়াছড়ি। খাবার থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক সরঞ্জামাদি সবকিছুতেই নকল আর ভেজাল। নিত্য প্রয়োজনীয় মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে এর চার্জারও নকল রেবিয়েছে। এই নকলের ভিড়ে আসল জিনিস চেনা-ই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।
নকল চার্জারের কারণে মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে মোবাইল সেট এবং ব্যবহারকারী। ফোন নষ্টের ছাড়াও নকল চার্জারে বৈদ্যুতিক শক খাওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক নকল চার্জার চেনার উপায়।
[caption id="attachment_175956" align="aligncenter" width="300"] বই কিনতে ক্লিক করুন[/caption]
১. চার্জার সকেট বা মাল্টিপ্লাগের প্লাগের ঢোকানোর পর যদি ঠিকভাবে খাপ না খায় ধরে নিতে হবে পিনগুলো ভুল আকারে বানানো। পিনের আর চার্জারের মধ্যে অন্তত ৯.৫ মিলিমিটার জায়গা থাকতে হবে। এমন না হলে ধরে নিতে হবে চার্জারটি নকল।
২. কেনার আগে চার্জারের গায়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের নাম বা লোগো, মডেল, ব্যাচ নম্বর যাচাই করতে হবে। তবে এগুলো থাকলেই যে আসল হবে এমনটাও ঠিক নয়। কারণ এসবও সহজেই নকল করা যায়।
৩. নিরাপদে চার্জার ব্যবহারের নির্দেশনা থাকতে হবে।
৪. চার্জারের গায়ে এ+ বা মেড ইন চায়না লেখা থাকলে ধরে নিতে হবে এটা নকল।
৫. খুব কাজ থেকে চার্জারের পিনগুলো লক্ষ্য করলেই আসল-নকলের তফাত বোঝা যাবে।
৬. নকল চার্জার দিয়ে দিনে ২-৩ বার চার্জ দিলেই খুব দ্রুত তা গরম হয়ে যায়। আসল চার্জারের ক্ষেত্রে দ্রুত গরম হয় না।
৭. কিছু কিছু ক্ষেত্রে চার্জার আসল হলেও ইউএসবি কেবল নকল থাকে। কাজে কেনার সময় সাবধান।
আরএম/