আওয়ার ইসলাম: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে চরিত্রহনন, বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়ানো বড় ধরনের সমস্যা। উন্নত দেশের মতো ফেসবুক, ইউটিউবসহ সার্ভিস প্রোভাইডারকে আইনের আওতায় আনতে বাংলাদেশেও বিধিমালা প্রণয়ন হচ্ছে।
আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস উপলক্ষে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন-বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়। আরও ১১টি বেসরকারি টিভি সম্প্রচারে আসছে।
এ খাতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। নতুন প্রজন্মের মনন তৈরিতে টিভির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষ্টি-সংস্কৃতি লালনের পাশাপাশি দেশ-জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, টিভি চ্যানেলের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ায় বিজ্ঞাপন ভাগ হয়ে যাচ্ছে। ৪০০-৫০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে।
এটি বন্ধ করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। সম্প্রচার মাধ্যম পুরোপুরি ডিজিটালাইজড হলে দেশের বাইরেও বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে। সরকার এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনে কর আরোপ করতে এনবিআরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ড. হাছান বলেন, ক্যাবল অপারেটরদের জন্য টিভি চ্যানেলগুলো সিরিয়াল করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের টিভি কখনো ভারতে দেখানো হতো না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র আগামী মাস থেকে ১২ ঘণ্টা সম্প্রচারে যাচ্ছে। কয়েক মাসের মধ্যে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র টেরিস্টরিয়াল সেবার মাধ্যমে সারা দেশে দেখা যাবে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান বিশেষ অতিথি ছিলেন।
-এটি