আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাষ্টের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা শুক্রবার নিজেদের প্রথম বৈদ্যুতিক বিমান দেখিয়েছে। তবে পরীক্ষামূলক ওই আকাশযানটি এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের মরু অঞ্চলে অবস্থিত নাসার অ্যারোনটিকস গবেষণাগারে তৈরি করা হচ্ছে বিমানটি।
২০১৫ সালে এক্স-৫৭ ম্যাক্সওয়েল নামের ওই বিমানটি তৈরির কাজে শুরু হয়েছে। ইতালি নির্মিত টেকনাম-পি২০০৬টি টুইন ইঞ্জিন প্রপেলার বিমানের আদলে তৈরি করা হচ্ছে এক্স-৫৭ ম্যাক্সওয়েল। বৈদ্যুতিক বিমানটি বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের জন্য আরও অন্তত বছর খানেক অপেক্ষা করতে হবে।
বিমানটিতে সবমিলিয়ে বড় আকারের ১৪টি বৈদ্যুতিক মোটর বসানো হবে। সম্প্রতি এরকম দুটি বৈদ্যুতিক মোটর বসানো পরপরই আকাশযানটি দেখানোর সিদ্ধান্ত নেয় নাসা। বৈদ্যুতিক বিমানটির পাশাপাশি উপস্থিত প্রকৌশলী ও পাইলটদেরকে ‘বিশেষ সিমুলেশন’ও দেখিয়েছে সংস্থাটি।
এক্স-৫৭ ফ্লাইটে ঠিক কেমন অনুভূতী হবে, সেটিই দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে বিশেষ ওই সিমুলেশনে।
নাসার আর্মস্ট্রং ফ্লাইট রিসার্চ সেন্টারের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রেন্ট কোবলি বলেছেন, “আমরা এমন কিছু বিষয় নিয়ে মনোনিবেশ করছি, যাতে ‘একটি প্রতিষ্ঠানের বদলে পুরো শিল্প উপকৃত হতে পারে’। ২০২০ সালের শেষ নাগাদ বিমানটিকে আকাশে উড়াতে চাই আমরা।”
বৈদ্যুতিক বিমানটি বিশেষভাবে তৈরি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির শক্তিতে চলবে বলে জানিয়েছে নাসা। কিন্তু ব্যাটারিটির বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
সেজন্য ‘এয়ার ট্যাক্সি’ হিসেবে স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে তুলনামুলক স্বল্প দূরত্বে চলাচলের উপযোগী হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে বিমানটিকে। সূত্র: রয়টার্স
-এটি