আওয়ার ইসলাম: শীতকাল ছাড়াও সারা বছরই অনেকের পা ফাটে। শীতকালে তো কথাই নেই। শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়, যার ফলে ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক। এ সময় ত্বকের নিচের স্তরে চিড় ধরে ও ফাটল সৃষ্টি হয়। পা ফাটা সমস্যার কারণে পায়ে ব্যথা করে, জ্বালা করে, হাঁটতে অসুবিধা হয়। অনেক সময় এর ফলে সংক্রমণও সৃষ্টি হতে পারে।
পা ফাটা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু কাজ বাদ দেয়া উচিত। সে সঙ্গে প্রতিদিন কিছু নিয়মও মানা দরকার। তহলে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকা সহজ হবে।
যা করবেন : ১. ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার। এ সময় পায়ের আর্দ্রতা কমে যায় তাই ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। পা পরিষ্কার করে তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন। এছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন পেট্রোলিয়াম জেলি, অলিভ অয়েল কিংবা নারকেল তেল আর গ্লিসারিন।
২. রাতে ঘুমানোর সময় পায়ে সুতি মোজা পরতে পারেন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা পাবে।
যা করবেন না : ১. অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার। গরম পানি ত্বককে শুষ্ক করে দেয়। গোসল বা পা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। বেশি সময় পানিতে পা ডুবিয়ে রাখবেন না। ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই গোসল সারুন।
২. ক্ষারযুক্ত সাবান। অনেকেই অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করেন। এতে ত্বকের রুক্ষতা বাড়ে ও সহজে পা ফাটে। পাশাপাশি পায়ে যেন অতিরিক্ত ঘষাঘষি করা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৩. শীতে খালি পায়ে না হাঁটাই ভালো। ঠান্ডা বাতাসে বের হলে খোলা জুতা বা স্যান্ডেল না পরে বদ্ধ জুতা পরুন। এতে পা সুরক্ষিত থাকবে।
৪. পায়ের মরা চামড়া তুলতে কখনোই ধারালো কিছু ব্যবহার করবেন না। ঝামা পাথর দিয়ে বেশি ঘষার ফলে ত্বক ফেটে যেতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীরা ত্বক থেকে মৃত কোষ তুলতে চাইলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
-ওএএফ