সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


নামকরণের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় লক্ষ রাখা উচিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আব্দুল্লাহ আফফান: ইসলামে সুন্দর ও ভালো নাম রাখার গুরুত্ব অনেক। তাই রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই অনেক বাচ্চার নাম রেখে দিয়েছেন এবং কারো অসুন্দর নাম শুনলে তা পরিবর্তন করে দিতেন। শিশু জন্মের সপ্তমদিনের মধ্যে নামকরণ করা উত্তম।

নামের মাধ্যমে শিশুর সঙ্গে পিতা-মাতার বন্ধন তৈরি হয়। পিতা-মাতা ও পরিবার ওই নামেই ডাকে যে নাম তারা শিশুর জন্য নির্বাচন করে। তাইতো প্রাচীনযুগে বলা হতো- তোমার নাম থেকেই তোমার পিতার পরিচয় পাওয়া যায়।নাম রাখার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় প্রতি লক্ষ রাখা উচিত।

১. আল্লাহ তায়ালার কোনো নামের সাথে ‘আব্দ’ যোগ করে নাম রাখা যেমন, আব্দুল্লাহ, আব্দুর রহমান। হাদিস শরিফে এসেছে, নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- إِنّ أَحَبّ أَسْمَائِكُمْ إِلَى اللهِ عَبْدُ اللهِ وَعَبْدُ الرّحْمنِ. অর্থ: আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় নাম আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান। (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২১৩১; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ২২৯১০)

২. কোনো নবির নামে নাম রাখা। নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- تَسَمّوْا بِأَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ.
অর্থ: তোমরা নবিদের নামে নাম রাখ। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ১৯০৩২, আরো দ্রষ্টব্য আল আদাবুল মুফরাদ, হাদিস ৮৩৬-৮৪০)

৩. সাহাবি-তাবেয়ি কিংবা কোনো নেককার বুজুর্গের নামের সাথে মিলিয়ে নাম রাখা। এক হাদিসে এসেছে, নবি  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি তাদের (হাসান, হুসাইন ও মুহাসসিনের) নাম রেখেছি হযরত হারূন আলাইহিস সালামের সন্তানদের নামের সাথে মিলিয়ে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ৯৫৩)

আর নামের প্রভাব ব্যক্তির মাঝে প্রতিফলিত হওয়ার বিষয়টিও সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। (দ্র. সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৯১৭)

আর হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে-إِنّكُمْ تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ، وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ، فَأَحْسِنُوا أَسْمَاءَكُمْ. অর্থ: কিয়ামতের দিন প্রত্যেককে তার নিজের নাম ও পিতার নামসহ ডাকা হবে। সুতরাং তোমরা সুন্দর নাম রাখ। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ৪৯০৯)

এগুলো উত্তম নাম রাখার কিছু মূলনীতি। এছাড়াও যে কোনো ভালো অর্থের নামও রাখা জায়েজ এবং তা আরবি ছাড়া অন্য ভাষায়ও হতে পারে। বর্তমানে শান্ত, সজিব ও নীরব নামগুলো রাখার সুযোগ আছে। তবে ইমন সাধারণ অর্থ হিসেবে খুব বেশি সুন্দর নয়। -ফাতাওয়া বায্যাযিয়া ৩/৩৭০; তুহফাতুল মাওদূদ পৃ. ৯৯, ১০৬; আসসেআয়া ২/১৬৪।

তথ্যসূত্র: আল কাউসার।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ