আওয়ার ইসলাম: ইসলামী ধারার তরুণ লেখকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের ধারাবাহিক বুনিয়াদি কর্মশালার দ্বিতীয়টি সাভারের জামিয়া মাহমুদিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে তরুণদের জন্য আয়োজিত এই কর্মশালা চলে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত।
কর্মশালায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন।
মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন বলেন, মিডিয়া অনেক বড় একটি শক্তি। কিন্তু সেই শক্তি আজ আমাদের হাতে নেই। মিডিয়া নেই বলেই আজ আমরা দুর্বল।
তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পড়তে ও লিখতে হবে। পরবর্তী প্রজন্ম যেন তোমাদের লেখাটি গ্রহণ করে সেভাবে লিখতে হবে। এজন্য লেখাটা শুদ্ধ করা খুবই জরুরি। একটি লেখা ও একজন লেখক অনেক দিন বেঁচে থাকেন।
‘কেবল বড় লেখক কিংবা সাংবাদিক হওয়ার জন্য নয়, নিজের যেকোনো কর্মস্থলে যেন প্রয়োজনের সময় শুদ্ধভাবে লিখতে পারে সেই চেষ্টাটা প্রতিটি তরুণের মধ্যে থাকতে হবে। সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবার জন্যও সুন্দর বলা এবং লেখার যোগ্যতা অর্জন করা চাই’।
এছাড়াও নবীন লেখকদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের সভাপতি ও ঢাকা টাইমসের বার্তা সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর, সাধারণ সম্পাদক ও কবি মুনীরুল ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সহসম্পাদক আতাউর রহমান খসরু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক সময়ের আলোর ইসলাম পাতার ইনচার্জ আমিন ইকবাল। এছাড়া কর্মশালার বিভিন্ন বিষয় তত্ত্বাবধান করেন ফোরামের নির্বাহী সদস্য হাসান আল মাহমুদ, সদস্য সুফিয়ান ফারাবী ও আব্দুল্লাহ ফিরোজী।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সাভারের বিভিন্ন মাদরাসার মুহতামিম, শিক্ষক ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। তারা এই অঞ্চলে এ ধরনের আয়োজন আরও বেশি বেশি করার আবেদন জানান। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মাদরাসাপড়ুয়া তরুণদের লেখালেখির শক্তিশালী ভিত গড়ে তুলতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে লেখালেখির ধারাবাহিক বুনিয়াদি কর্মশালার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম। গত ২৯ আগস্ট উত্তরায় বাইতুল মুমিন মাদরাসায় প্রথম কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় কর্মশালার ঘোষণা শিগগির আসছে বলে জানিয়েছেন ফোরামের দায়িত্বশীলরা।
আরএম/