আওয়ার ইসলাম: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবার সড়কপথে ঈদযাত্রা মোটামুটি স্বস্তিদায়ক ছিল। একটি রুটে (টাঙ্গাইল থেকে সিরাজগঞ্জ) দুর্ভোগ ছিল অসহনীয়। এলেঙ্গা থেকে রংপুর চার লেন না হওয়া পর্যন্ত এ দুর্ভোগ থাকবে।
বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঈদ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, একটা রুটে দুদিন খুবই দুর্ভোগের কারণ হয়েছিল। সড়কেও হয়েছিল এবং টার্মিনালেও অপেক্ষমাণ যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হয়েছিলেন। এটা টাঙ্গাইল রুটে।
সমস্যাটি আগে ঢাকা-চট্টগ্রামে ছিল। এদিক থেকে এইট লেনে গিয়ে টু লেন ব্রিজে চলাচল, ওদিক থেকে ফোর লেনে এসে টু লেন ব্রিজে লম্বা টেইলব্যাক (যানজট) সৃষ্টি হচ্ছে। এখানেও সমস্যাটাও ঠিক তাই। এখানে চার লেনে যাত্রাটা যেখানে শেষ হয়, টু লেন শুরু হয় সেখানে।
টাঙ্গাইল রুটে ভোগান্তির কারণ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, উত্তরবঙ্গে এমনিতেই গার্মেন্ট কর্মীরাসহ শেষ দিকে চাপটা এমন যে, তখন প্রেসার মোকাবিলা করা খুব কঠিন। চার লেন থেকে যখন দুই লেনে যায় প্রেসারটা তখন লম্বা টেইলব্যাক সৃষ্টি হয় এবং টেইলব্যাকটা আরও লম্বা হয় যখন ধৈর্যহারা হয়ে চালকরা গাড়ি উল্টো পথে নিয়ে যায়।
এ কারণে দুদিন যাত্রাটা স্বস্তিদায়ক ছিল না, ভোগান্তি হয়েছে। অনেক মানুষ কষ্ট করেছে। গাড়ি দেরিতে আসার কারণে টার্মিনালেও বহু মানুষের কষ্টের সীমা ছিল না। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছি।
তিনি বলেন, শুধু টাঙ্গাইল থেকে সিরাজগঞ্জ- এখানে যে সমস্যাটা, এ সংকট অনেক চেষ্টা করেও এড়াতে পারিনি। এখন এলেঙ্গা থেকে রংপুর চার লেনের কাজ শুরু হবে। এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত চার লেন না হওয়া পর্যন্ত দুর্ভোগ থাকবে।
আমি আশা করি, আমাদের ওদিকে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। তবে আপাতত চার লেন হওয়ার আগ পর্যন্ত আরও ঈদ আছে, আরও প্রেসার আছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আপাতত কিছু ব্যবস্থা করার চিন্তা-ভাবনা আমরা করছি- যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, এবারের ঈদযাত্রা মোটামুটি স্বস্তিদায়ক হয়েছে; তবে একটা জায়গায় হ্যাসেল বেশি হয়েছে যেটা আমরা এক্সপেক্ট করিনি। তার চেয়ে বেশি হয়েছে। আমরা এবারের ভুল থেকে ভবিষ্যতে শিক্ষা নেব। এ ভুলের পুনরাবৃত্তি রোধে চারর লেন হওয়ার আগে সেটা করব। এ ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এবং আমরা সিরিয়াসলি বিষয়টা দেখছি।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, এবার ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ৩৬ হাজার ২০২টি গাড়ি প্রতিদিন চলাচল করেছে। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে মনিটরিং অত্যন্ত কড়া ছিল এবং ভিজিল্যান্স টিমও তৎপর ছিল। পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএ সবাই মিলে তৎপরতায় ৬৯টি মামলায় ২ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সর্বমোট ৩৮১টি মামলায় ৭ লাখ ৬৭ হাজার ১০০টাকা জরিমানা করেছি। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেয়া হয়েছে।
-এএ