আওয়ার ইসলাম: কিশোরগঞ্জের বাজিতপুুর উপজেলার হাওর অধ্যুষিত গ্রাম মাইজচরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ফারুক বাহিনীর গুলিতে দুই ভাই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো গুলিবিদ্ধ ১৭ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার সকালে ওই গ্রামের শ্যামপুরপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন- শরীফ মিয়া (৩৫) ও ফোরকান মিয়া (২৮)।
জানা যায়, সন্ত্রাসী ফারুক বাহিনীর নানা অপকর্মের প্রতিবাদ ও টাকার লেনদেন নিয়ে বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, গ্রামের চাল ব্যবসায়ী মওলাকে বুধবার ফারুক ও তার ভাই আনিস প্রহার করেন। ঘটনার পর মওলার আত্মীয়রা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে গেলে ফারুক বাহিনী পাল্টা গুলি চালায়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ফোরকানের শরীরে ৩১টি ও শরীফের শরীরে ১৪টি স্থানে ছররা গুলি বিঁধেছে। দুজনের বুকে, মাথায় ও হাতে এসব গুলি লেগেছে। গুলিতেই তারা মারা গেছেন।
বাজিতপুর থানার ওসি মুহা খলিলুর রহমান পাটোয়ারী জানান, জোড়াখুনের ঘটনায় এখনো থানায় এজাহার দায়ের করা হয়নি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে। হত্যাকারীরা গা ঢাকা দেয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ফারুকের নেতৃত্বে তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা হাওরের জলযানে ডাকাতি, গরু চুরি থেকে শুরু করে ইয়াবাসহ সবধরণের মাদকের কারবার করে আসছে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে খুনসহ নৌডাকাতি, মিঠামইনের হাওরে নৌডাকাতি, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ইয়াবার বড় চালানের মামলাসহ বিভিন্ন থানায় ফারুকের বিরুদ্ধ একাধিক মামলা রয়েছে।
মাইজচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুহা. তৈয়্যবুর রহমান জানান, একতরফা হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকালীদের নেতা ফারুক খারাপ প্রকৃতির লোক বলে এলাকায় পরিচিত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
-এএ