তারেক সাইদ: সামর্থবান পুরুষ ও নারীর জন্য হজ জীবনে একবার ফরজ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, এতে রয়েছে মকামে ইব্রাহীমের মত সুস্পষ্ট নিদর্শন। আর যে, লোক এর ভেতরে প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। আর ওই সমস্ত ব্যক্তিদের জন্য বাইতুল্লাহর হজ আবশ্যক যারা সেখানে পৌছার সামর্থ্য রাখে। আর যে লোক তা মানে না। আল্লাহ সারা বিশ্বের কোন কিছুরই পরোয়া করেন না। (৯৭-সূরা আল ইমরান)
সামর্থবানদের জন্য সর্বোত্তম আমলও হজ। আর এ কারণেই হজে মাবরুর বা কবুল হজের বিনিময়ও অনেক বড় এবং ফজিলতপূর্ণ।
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনা। জিজ্ঞাসা করা হলো, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। জিজ্ঞাসা করা হলো অতঃপর কোনটি? তিনি বললেন, হজে মাবরুর (কবুল হজ)। (বুখারি- ১৪৩০)
হযরত মাআজ আত তামেমী রাযি. থেকে বর্ণিত, সর্বোত্তম আমল কী এ ব্যাপারে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সা. কে জিজ্ঞাসা করলেন। উত্তরে বললেন, অদ্বিতীয় আল্লাহর প্রতি ঈমান, ও তারপর মাবরুর হজ যা সকল আমল থেকে শ্রেষ্ঠ। সূর্য উদয় ও অস্তের মধ্যে যে পার্থক্য ঠিক তারই মত। (আহমদ- ৪/৩৪২)
হযরত ইবনে মাসউদ রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, তোমরা পর পর হজ ও উমরা আদায় করো। কেননা তা দারিদ্র্য ও পাপকে সরিয়ে দেয় যেমন সরিয়ে দেয় কামারের হাপর লোহা-স্বর্ণ-রুপার ময়লাকে। আর হজে মাবরুরের ছোয়াব তো জান্নাত ভিন্ন অন্য কিছু নয়। (নাসায়ী ২/৫৫৮)
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, এক ওমরা হতে অন্য ওমরা, এ দুয়ের মাঝে যা কিছু (পাপ) ঘটবে তার জন্য কাফফারা। আর মাবরুর হজের বিনিময় জান্নাত ভিন্ন অন্য কিছু নয়। (বুখারী ১৬৫০)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, উত্তম আমল কি এই মর্মে রাসূলুল্লাহ সা. -কে জিজ্ঞাসা করা হল। উত্তরে তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান। বলা হল, তারপর কী? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ। বলা হল তারপর কোনটি? তিনি বললেন, মাবরুর হজ।(বুখারী ১৪২২)
উল্লেখিত হাদিসসমূহের বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট। তাই হজ পালন ইচ্ছুক প্রতিটি ব্যক্তিরই উচিৎ পবিত্র হজের এসব ফজিলত পাওয়ার যথাযথ চেষ্টা করে যাওয়া। হজ কবুল হওয়ার সকল শর্ত পূর্ণ করে সমস্ত পাপ ও গুনাহ থেকে মুক্ত থেকে কঠিনভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের হজকে কবুল করে নিন। আমিন।
-এএ