আওয়ার ইসলাম: উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও বাঙালি নদীর পানি বাড়ায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ৬০০ গ্রাম। আবারও পানিবন্দি প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ।
পদ্মা-যমুনার পানি কমায় মানিকগঞ্জ, শরিয়তপুর ও ফরিদপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে দুর্ভোগ কমছে না বানভাসীদের। এদিকে, জামালপুরের সরিষাবাড়িতে পানিতে ডুবে একই বাড়ির ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
কুড়িগ্রামে ধরলা-দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়ে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে তিন শতাধিক গ্রাম। চিলমারী, রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা শহরও প্লাবিত। পানির প্রবল চাপে বেশ কয়েকটি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। ডুবে গেছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি।
তিস্তার পানি বাড়ায় লালমনিরহাটের নদী তীরের নিচু এলাকা প্লাবিত। হয়েছে। পানিবন্দি ১২ গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে।
বাঙালি নদীর পানিতে তলিয়েছে অন্তত আড়াইশ গ্রাম। নতুন করে বন্যা পরস্থিতি অবনতি হওয়ায় ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে বগুড়ায়। গাইবান্ধায়ও প্লাবিত হয়েছে অন্তত ২০টি এলাকা
জামালপুরে বন্যা কবলিত এলাকায় বাড়ি-ঘরে যাতায়াত করতে হচ্ছে নৌকা, কলার ভেলায়। অনেক পরিবার এখনও রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে। এদিকে, পদ্মা-যমুনার পানি কমায় শরীয়তপুর ও মানিকগঞ্জের নিচু এলাকা থেকে পানি নামলেও ত্রাণ ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকটে ভুগছেন দুর্গতরা।
-এটি