বেলায়েত হুসাইন: পবিত্র মসজিদ আল আকসা অঞ্চলে বসবাসরত ফিলস্তিনিদের ঘরবাড়ির উপর ইহুদীবাদী ইসরায়েলের সৈন্যরা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। গত দুই তিনদিনে নগরীর সুর বাহারের হিমস উপত্যকায় অন্ততপক্ষে মুসলমানদের শতাধিক ঘরবাড়ি গুড়িয়ে দেয় তারা। দখলদারদের এই পাশবিকতাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ আখ্যা দিয়ে এর কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছে মিশরের বিখ্যাত ইসলামি বিদ্যাপীঠ জামিয়াতুল আজহার (আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়)।
গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) আল আরাবিয়া ডটনেটে বিবৃতির এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচে বড় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়টি দাবি করেছে,মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল আকসা ও পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনের ইসলামি ও আরবী পরিচয় মুছে ফেলা যাবেনা এবং আল আকসার ফিলিস্তিনি ও ইসলামি পরিচয় মুছে ফেলার কোন অনুমতিও কাউকে দেয়া হবেনা।
বিবৃতিতে, আর সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলের সেনাবাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভিটেমাটি থেকে উৎখাত করা এবং তাদের বসতবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে নিশ্চিহ্ন করারও শক্ত নিন্দা জানিয়ে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। দখলদার সৈন্যরা জোরপূর্বক যেভাবে ফিলিস্তিনিদের জায়গা দখল করছে-সে অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য বলেও মন্তব্য করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বিবৃতিতে ইসরায়েলকে কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে আল আজহার বলছে, ফিলিস্তিনি ভূমি ও মালসম্পদের উপর জোরপূর্বক ও অবৈধভাবে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার নাজুক ও ভয়াবহ ফলাফল অপেক্ষা করছে ইসরায়েলের জন্য। নিজেদের বাপদাদার বাস্তুভূমিতে নিরাপত্তার সঙ্গে জীবনযাপন করা মাজলুম ফিলিস্তিনিদের অধিকার, সেখানে অভিশপ্ত যাযাবর ইহুদীজাতির হস্তক্ষেপের কোন অধিকার নেই।
সবশেষে ফিলিস্তিনিদের বসতবাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলের এই ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধের জন্য বিশ্বসম্প্রদায়কে খুব শিগগির কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। ফিলিস্তিন যেন খুব সুন্দর, নিরাপদ ও সুরক্ষিত একটি দেশে রূপান্তরিত হয় সে প্রচেষ্টা করারও অনুরোধ জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।
আরএম/