আওয়ার ইসলাম: ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা তাদের নতুন নেতা হিসেবে বরিস জনসনকে বেছে নিয়েছেন। এর ফলে তেরেসা মে’র পদত্যাগের পর তিনিই হতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। দায়িত্ব নেয়ার পরপরই ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) প্রক্রিয়ার সমাধান করতে হবে বরিসকে।
বুধবার থেকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন তিনি। তার নেতৃত্বেই ব্রেক্সিটের একটি সুরাহা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজনীতির রক্ত বইছে বরিসের শরীরে। তার প্রপিতামহ ছিলেন বিখ্যাত অটোমান সম্রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।
পিতৃকূলের দিক থেকে জনসনের আছে একইসঙ্গে ব্রিটিশ ও তুর্কি উত্তরাধিকার। তার দাদার বাবা আলি কামাল ছিলেন অটোমান সাম্রাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। জাতিতে তুর্কি মুসলিম। নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ দাবি করা আলি কামাল সুলতানের গ্র্যান্ড ভিজার (প্রধানমন্ত্রী) দামাত ফরিদ পাশার মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে আলী কেমাল প্রথমে একজন সাংবাদিক ছিলেন। পরে রাজনীতিতে যোগ দেন। অটোম্যান মন্ত্রিসভায় খুব কম সময়ের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। ১৯২০ এর দশকে আলী কেমাল গণপিটুনিতে নিহত হন।
বরিস জনসনের বাবাও ছিলেন কূটনীতিক। কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে ইউরোপীয় সংসদের সদস্যও হয়েছিলেন তিনি।
জনসনের দাদার নানি মেরি লুই দে পিফেল ছিলেন উর্তেমবার্গের যুবরাজ পলের বংশধর; সেই সূত্রে গ্রেট ব্রিটেনের রাজা জেমস ওয়ান ও রাজা জর্জ টু-রও বংশধর।
আরএম/