আওয়ার ইসলাম: পণ্যের মাননিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআই (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) অনুমোদিত ১০ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর সিসা ও ক্যাডিমিয়ামের অস্তিত্ব পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা দায়ের হয় বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল ইসলাম।
যে ১০ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে সেগুলো হলো- বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্কভিটা), বারো আউলিয়া ডেইরি মিল্কের (ডেইরি ফ্রেশ), ইগলু, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ (ফার্ম ফ্রেস মিল্ক), আফতাব মিল্ক, শিলাইদহ ডেইরি (আলট্রা মিল্ক), আড়ং ডেইরি, প্রাণ মিল্ক, ইছামতি ডেইরি লিমিটেড (পিওর মিল্ক), সেইফ মিল্ক।
হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে দুধের এসব নমুনা পরীক্ষা করে গত ১৬ জুলাই নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চে প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আইসিডিডিআরবি, বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশন, বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বিসিএসআইআর, প্লাজমা প্লাস, ওয়াফেন রিসার্চ’র ল্যাবে পাস্তুরিত, খোলা দুধ ও গোখাদ্য পরীক্ষা করে সংস্থাটি।
আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে আদেশ ও রুল জারি করে। পাশাপাশি ক্ষতিকর সিসা ও ক্যাডিমিয়ামের বিষয়ে বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে ২৮ জুলাই এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য ধার্য রাখেন হাইকোর্ট। এছাড়া পশু চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া গাভীকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো বা শরীরে তা পুশ করা যাবে না বলে আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আর্থিক সহায়তায় গোখাদ্য, দুধ, দই ও বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষায় গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে কীটনাশক, অ্যান্টিবায়োটিক ও সিসার উপস্থিতির প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত ১১ ফেব্রুয়ারি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিতায় পরবর্তী আদেশের প্রেক্ষিতে দুধ নিয়ে এ প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
আরএম/