আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর খামারবাড়ি ও পল্টনে দুটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে পুলিশ। বোমা দুটি দেখতে হুবহু এক এবং সেগুলো পড়ে ছিল পুলিশ বক্সের পাশে। কে বা কারা এ বোমা রেখে গেছে তা তদন্ত করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার পর কাউন্টার টেররিজম বিভাগের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট একটি রোবট পাঠিয়ে বোমাটিকে নিস্ক্রিয় করে। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্টে বোমাতঙ্ক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে পুলিশের বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট। সে সময় বিকট শব্দে এসময় আশপাশের এলাকাও কেপে ওঠে।
খামারবাড়ি গোলচত্বরে রাত ১০টার দিকে পুলিশবক্সের একদম পাশে একটি কাগজের বাক্স দেখতে পান ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। সেটা বিস্কুটের প্যাকেট মনে করে খুলে দেখতে যান কেউ একজন। পরে ভেতরে বোমার মতো কিছু টের পেয়ে খবর দেয়া হয় থানা পুলিশকে।
সেখানে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের, বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট সেটি নিষ্ক্রিয় করতে শুরু করে। ঘণ্টা দেড়েক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অন্যদিকে রাজধানীর পল্টন মোড়ের পুলিশ বক্সের পাশে আরেকটি বোমা নিষ্ক্রিয় করে পুলিশ। পল্টনের বোমাটিও একই রকম দেখতে এবং একই রকম কাগজের বাক্সে ছিল। সেটিরও বিস্ফোরণ ঘটায় বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট।
বোম ডিসপোজাল ইউনিট জানায়, সেখানে বোমা সদৃশ্য বস্তু রয়েছে, জানার পর জায়গাটি নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয়। ওই বোমাগুলো কতটুকু কার্যকর আর কেমন অবস্থায় আছে তা জানার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য রোবট পাঠানো হয়। রোবটের সাথে ক্যামেরাও সংযুক্ত ছিলো। ক্যামেরার মাধ্যমে সেটা মনিটরে দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সূত্র জানায়, বোম ডিসপোজাল ইউনিট একটি বিস্ফোরণের মাধ্যমে ওই বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়। এ সময় বিকট শব্দ হয়। সেখানে মোট পাঁচটি অক্ষত বোমা ছিল। বোমা নিষ্ক্রিয়ের পর তার কিছু অংশবিশেষ বোম ডিসপোজাল ইউনিট সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানানো হবে এগুলো কি ধরনের বোমা ছিল।
পুলিশ বলেছে, জনমনে আতংক ছড়ানোর হীন উদ্দেশ্যেই বোমাগুলো জনবহুল স্থানে রেখে দিয়েছিলো কোনো একটি বিশেষ মহল।
-এএ